সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে এক বছর পূর্ণ হল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। তবে এখনও সংঘাত থামার কোনও লক্ষণ নেই। বিশ্বায়নের যুগে হাজার হাজর কিলোমিটার দূরের এই রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের আঁচ ভালই পড়ছে ভারতে। কূটনীতির দড়িতে ভারসাম্যের কঠিন খেলায় নামতে হয়েছে দিল্লিকে। আর এতেই কার্যত হতাশ ইউক্রেন।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় (United Nation) রুশ সেনাকে ইউক্রেন থেকে সরানো নিয়ে প্রস্তাব পাশ হয়েছে। কিন্তু এদিন ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকে ভারত ও চিন (China)। রাশিয়ার সঙ্গে দিল্লি ও বেজিংয়ের ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্কের জেরেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আর এতেই রীতিমতো হতাশ ইউক্রেন। শুক্রবার দিল্লিতে কিয়েভের দূত ইভান কনোভালোভ। রাষ্ট্রসংঘে দিল্লি ভোটদানে বিরত থাকায় ইউক্রেন যে হতাশ তা স্পষ্ট করে দিলেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে কিয়েভের দূত ইভান কনোভালোভ বলেন, “ভারত ভোটদানে বিরত থাকা ইউক্রেনের জন্য খুবই সংবেদনশীল বিষয়। আমরা ভারতের সমর্থন আশা করি। আমাদের ভরসা আছে যে ভবিষ্যতে ভারত আমাদের পাশে থাকবে।” জি-২০ জোটের সভাপতি ভারত এই যুদ্ধে ইতি টানতে বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে তিনি বলেন, “জি-২০ জোটের সভাপতি ভারত। তাই দিল্লির সমর্থন ইউক্রেনের জন্য অত্যন্ত জরুরি।” তিনি আরও বলেন, “আমরা স্বাধীনতার লড়াই লড়ছি। ২০২৩ সালে এই যুদ্ধ শেশ হবে এবং আমরাই জয়ী হব।”
[আরও পড়ুন: বাজার থেকে উধাও পিঁয়াজ? বিশ্বজুড়ে তীব্র হচ্ছে সংকট]
প্রসঙ্গত, আজ রাষ্ট্রসংঘের সভায় ১৪১টি সদস্য দেশ রুশ সেনাকে ইউক্রেন (Ukraine) থেকে সরানো প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলেও বিরোধিতা করে ৭টি দেশ। ভারত-চিনের মতো ৩২টি দেশ ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকে। এদিন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজকে বলতে শোনা যায়, ”ভারত ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। সাধারণ মানুষের উপরে হওয়া হামলা গভীর উদ্বেগজনক।” কিন্তু একথা বলা সত্ত্বেও তিনি বলেন, যে প্রস্তাব রাখা হচ্ছে তাতে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি সুরক্ষার পন্থায় সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আর তাই ভারত ভোটদান থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখছে।