সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন মুলুকে ভারতীয়ের মুণ্ডচ্ছেদ করে খুনের ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাথমিকভাবে আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটির তরফে জানানো হয়, অভিযুক্ত ইয়োর্দানিস কোবোস মার্টিনেজের বিরুদ্ধে অতীতেও বহু অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তা সত্ত্বেও মার্টিনেজকে মুক্তি দিয়েছিল জো বাইডেন প্রশাসন। চন্দ্রমৌলি নাগামালিয়ার ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে এসেছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মার্টিনেজ কিউবার বাসিন্দা। সেখান থেকে সম্ভবত বেআইনিভাবে আমেরিকায় ঢুকেছে সে। অতীতে ফ্লোরিডা এবং হিউস্টনে নানা অপরাধের জন্য গ্রেপ্তার হয়েছে মার্টিনেজ। এমনকি ক্যালিফোর্নিয়ার একটি অপরাধে দোষী সাব্যস্তও হয়েছে। বেশ কিছুদিন গারদের ওপারে থাকার পর আদালত নির্দেশ দেয়, মার্টিনেজকে কিউবায় ফেরৎ পাঠাতে হবে। কিন্তু অপরাধী মার্টিনেজকে দেশে ফেরাতে রাজি হয়নি কিউবার প্রশাসন। পরবর্তীকালে মার্টিনেজকে মুক্তি দেয় বাইডেন প্রশাসন, তাদের যুক্তি ছিল, কিউবা যাওয়ার পর্যাপ্ত বিমান ছিল না।
অন্যদিকে, নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মোটেলের প্যাসেজ ধরে চন্দ্রমৌলিকে তাড়া করে মার্টিনেজ। পার্কিং লট দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন চন্দ্রমৌলি। কিন্তু লাভ হয়নি। তাঁকে তাড়া করে ধরে ফেলে মার্টিনেজ। ছুরি দিয়ে পরপর কোপ দিতে থাকে। চন্দ্রমৌলিকে খুন করে তাঁর মাথা কেটে দেয় মার্টিনেজ। সেই কাটা মাথা নিয়ে কার্যত ফুটবল খেলে তারপর ডাস্টবিনে ফেলে দেয়। গোটা ঘটনার সময়ে মার্টিনেজকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন চন্দ্রমৌলির স্ত্রী এবং ১৮ বছর বয়সি পুত্র।
উল্লেখ্য, ভারতীয় নাগরিকের এমন নৃশংস পরিণতি নিয়ে মুখ খুলেছে হিউস্টনের ভারতীয় কনসুলেট। এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘টেক্সাসের ডালাসে নিজের কর্মক্ষেত্রে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে চন্দ্রমৌলি নাগামালিয়াকে। তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি আমরা। তাঁদের সবরকম সাহায্য করবে কনসুলেট। আপাতত ডালাস পুলিশের হেফাজতে রয়েছে চন্দ্রমৌলির খুনি।’ জানা গিয়েছে, নিহত চন্দ্রমৌলি আদতে কর্নাটকের বাসিন্দা।
