সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১২ দিনের মাথায় ফের আত্মঘাতী বিস্ফোরণ পাকিস্তানে। এবার নিশানায় পেট্রপণ্য সংস্থার নিরাপত্তাকর্মীরা। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৪ সেনাকর্মীর। জখম অন্তত ২২। একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনা পাকিস্তানের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিপূর্বে পেশোয়ারের মসজিদ আত্মঘাতী হামলায় ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
তফসিলি জাতি অধ্য়ুষিত উত্তর পাকিস্তানের ওয়াজিরস্তানের খাজোরি চক এলাকায় পেট্রলিয়াম সংস্থা রয়েছে। সেখানকার কর্মীরা শিফট শেষে বিশ্রাম নিতে আসছিলেন। তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন সেনা কর্মীদের গাড়ি। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, আত্মঘাতী হামলাকারী তিন চাকার এক গাড়িতে চেপে সেনাকর্মীদের কনভয়ে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে জোরালো বিস্ফোরণ ঘটে। মৃত্যু হয় ৪ জনের। জখম হন অন্তত ২২ জন। তাঁদের মধ্য়ে ১৫ জন সংস্থার কর্মী। কে বা কারা এই হামলা করাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, তেহরিক-ই-তালিবানের তরফে হামলা চালানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: গ্রুপ ডি-তে বাতিলদের জায়গায় ওয়েটিং লিস্ট থেকে নিয়োগ, সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ SSC’র]
তেহরিক-ই-তালিবানের (TTP) হামলার জেরে ত্রস্ত পাক প্রশাসন। কখনও পুলিশ খুন তো কখনও নিরাপত্তারক্ষীদের উপর হামলা চালাচ্ছে জেহাদিরা। দিন কয়েক আগে মসজিদে জঙ্গি হামলা হয়েছে। প্রাণ গিয়েছে শতাধিক মানুষের। জখম ২০০’র বেশি। এরপরই জঙ্গি দমনে তেড়েফুঁড়ে নামে পাকিস্তান (Pakistan) প্রশাসন।
সম্প্রতি এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে তালিবান শাসন কায়েম হওয়ার পর থেকেই অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে বিভিন্ন জেহাদি সংগঠনগুলি। বিশেষ করে পাকিস্তানে একাধিক হামলা চালিয়েছে টিটিপি। বারবার আলোচনায় বসেও সংগঠনটিকে অস্ত্র পরিহারে বাধ্য করতে পারেনি পাক প্রশাসন। পেশোয়ারের মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের দায় নেয় পাক তালিবান বা তেহরিক-ই-তালিবান (TTP)। জেহাদি সংগঠনের কমান্ডার সরবাকফ মহম্মদ হামলার দায় স্বীকার করে।