সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিসা নিয়ে একগুচ্ছ কঠোর পদক্ষেপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এবার বিজ্ঞাপন দিয়ে তারা জানিয়ে দিল, এইচ-১বি ভিসার যথেচ্ছ অপব্যবহার করে দেশীয় কর্মীদের চাকরি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে বিদেশি কর্মীরা। মার্কিন শ্রম দফতরের নতুন প্রচার ভিডিওয় সরাসরি ভারতের নাম তুলে বলা হয়েছে, বিদেশিদের, বিশেষত ভারতীয়দের নিয়ে আমেরিকার তরুণদের স্বপ্ন চুরমার করা হচ্ছে। সেই কারণেই কঠোরতর করা হচ্ছে ভিসা নীতি।
বৃহস্পতিবারই আমেরিকার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, স্বয়ংক্রিয় ভিসা পুনর্নবীকরণ ব্যবস্থার নিয়মে বদল আনা হচ্ছে। এখন থেকে নিয়োগকারী সংস্থার তরফে দেওয়া ‘ওয়ার্ক পারমিট’ বা কাজের অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হওয়ার অন্তত ১৮০ দিন আগে পুনর্নবীকরণের জন্য আবেদন করতে হবে। প্রকৃতপক্ষে আমেরিকায় কর্মরত বিদেশিদের উপর নজরদারি চালাতেই কঠোরভাবে তাঁদের নথি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এরই মাঝে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিদেশিদের তরফে ‘কাজ কেড়ে নেওয়ার’ বার্তা।
বিজ্ঞাপন দিয়ে মার্কিন শ্রম দপ্তর লিখেছে, ‘এইচ-১বি অপব্যবহারের ফলে বহু মার্কিন তরুণ তাঁদের স্বপ্ন হারিয়েছেন। বিদেশিদের জন্য তাঁদের চাকরি চলে গিয়েছে।’ সঙ্গে দাবি করা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও শ্রমমন্ত্রী লরি চাভেজ-ডি রেমারের নেতৃত্বে এখন এই অপব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং আমেরিকার তরুণদের স্বপ্ন সত্যি করার প্রয়াস করা হচ্ছে।
৫১ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপনে ১৯৫০-এর দশকের মার্কিন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ছবি পাশাপাশি রাখা হয়েছে বর্তমান চাকরির বাস্তবতার সঙ্গে। দাবি করা হয়েছে, এইচ-১বি ভিসাধারীদের ৭২ শতাংশই ভারতীয়। ভিডিওতে শোনা যায়, “অনেক আমেরিকানের স্বপ্ন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের চাকরি বিদেশিদের দেওয়া হয়েছে।” শেষে বার্তা দেওয়া হয়েছে – প্রজেক্ট ফায়ারওয়ালের মাধ্যমে সংস্থাগুলিকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে এবং প্রথমে আমেরিকানদের চাকরি নিশ্চিত করা হবে। গত সেপ্টেম্বরে আমেরিকার তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল ‘প্রজেক্ট ফায়ারওয়াল’। শ্রম দফতরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য, এইচ-১বি ভিসার নামে সংস্থাগুলি কম পারিশ্রমিকে বিদেশি কর্মী নিয়ে এসে স্থানীয় কর্মীদের সরিয়ে দিচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা এবং বেআইনি কাজ ধরা পড়লে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।
