সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের একাধিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে? সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে মার্কিন কয়েকজন আধিকারককে এই প্রশ্নটিই করা হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রশ্ন এড়িয়ে যান তাঁরা। এরপরই আমেরিকার বিদেশমন্ত্রকের তরফে ওই সাংবাদমাধ্যমকে একটি বিবৃতি পাঠানো হয়। সেখানে সাফ বলা হয়, ‘পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধাবিমান ধ্বংস নিয়ে শাহবাজ শরিফের সরকারকেই প্রশ্ন করুন।’
আমেরিকাই যেহেতু পাকিস্তানের হাতে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান তুলে দিয়েছে, তাই স্বাভাবিকভাবেই এবিষয়ে তাঁদের কাছে খুঁটিনাটি সব খবরই থাকে। তাছাড়া বিমানগুলি পর্যবেক্ষণের জন্য পাকিস্তানেই মোতায়েন রয়েছে মার্কিন টেকনিক্যাল সাপোর্ট টিম। তাদের মাধ্যমেই বিমান সংক্রান্ত খুঁটিনাটি সব খবরই আমেরিকার কাছে চলে যায়। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তানের একটি এফ-১৬ যুদ্ধাবিমানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে, নয়াদিল্লি দাবি করেছে, ভারতের প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের অন্তত একটি এফ-১৬ যুদ্ধাবিমান গুঁড়িয়ে গিয়েছে। তাই ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সব জেনে বুঝেই আমেরিকা যুদ্ধবিমান ধ্বংসের প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরে ভারতের মিসাইল হামলায় পাকিস্তনের ১১টি বায়ুসেনা ঘাঁটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেছিল পাকিস্তান। যদিও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তবে একাধিক রিপোর্টের দাবি করা হয়, ভারতের হামলায় বায়ুসেনা ঘাঁটিতে থাকা ৯টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া দুটি নজরদারি বিমান, একটি সি-১৩০ পরিবহণ বিমান, ৩০ টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র, একাধিক ইউএভি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, আকাশপথে হামলার সতর্কবার্তা দেওয়া একাধিক র্যাডার ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে এই হামলায়। এখানেই শেষ নয়, ভারতের এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কবলে পড়ে ধ্বংস হয়েছে পাকিস্তানের একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন এয়ারক্রাফটও।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ২৬ জনের। সেই মৃত্যুর বদলা নিতে ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘরে হামলা চালায় ভারত। এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয় অপারেশন সিঁদুর। যার জেরে দুই দেশের সামরিক উত্তেজনা চরম আকার নেয়। পাক সীমান্তবর্তী রাজ্য জম্মু-কাশ্মীর, থেকে গুজরাট পর্যন্ত ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় পাকিস্তান। যদিও তাদের সে হামলা রুখে দেয় ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
