shono
Advertisement

সন্ত্রাসবাদ থেকে সীমান্ত বিবাদ, রাষ্ট্রসংঘে চিনের দ্বিচারিতা নিয়ে সরব ভারত

বেজিংকে কোণঠাসা করে দেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ।
Posted: 08:43 AM Aug 23, 2022Updated: 08:43 AM Aug 23, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ থেকে সীমান্ত বিবাদ ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে চিনকে একহাত নিল ভারত। সরাসরি চিনের নাম না নিলেও, সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে নয়াদিল্লি স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, একতরফা ভাবে সীমান্তে স্থিতাবস্থা বদলের চেষ্টা আঞ্চলিক নিরাপত্তায় বড়সড় ধাক্কা দেবে।

Advertisement

এদিন ‘যৌথ নিরাপত্তা’ ও ‘বিশ্ব শান্তি’ নিয়ে  বৈঠকে বসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC)। বলে রাখা ভাল, আগস্ট মাসে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির পদে রয়েছে চিন। এদিনের বৈঠকও তাদেরই উদ্যোগ। কিন্তু আলোচনায় বেজিংকে কোণঠাসা করে দেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ। নাম না করেও লাদাখ নিয়ে চিনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, “একতরফা ভাবে স্থিতাবস্থা বদলের চেষ্টা আঞ্চলিক নিরাপত্তায় বড়সড় ধাক্কা দেবে। আর যৌথ নিরাপত্তার বিষয়টি তখনই সম্ভব যখন দুই দেশ পরস্পরের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখণ্ডতাকে সম্মান জানাবে।” সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে বেজিংকে একহাত নিয়ে তিনি আরও বলেন, “অঞ্চলে সাধারণ নিরাপত্তার বিষয়গুলি তখনই নিশ্চিত করা সম্ভব যখন দুই দেশ স্বাক্ষরিত চুক্তিকে সম্মান জানাবে। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে দ্বিচারিতা করাও আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড়সড় চ্যালেঞ্জ।”

[আরও পড়ুন: ইসলামের নিন্দার ‘শাস্তি’! পাকিস্তানের মৌলবাদী সংগঠনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হিন্দু ব্যক্তি]

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মে মাস, অর্থাৎ গালওয়ান সংঘর্ষের (Galwan clash) সময় থেকেই লাদাখে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে ১৬ দফা আলোচনা হলেও জোট খোলেনি। সীমান্ত বিবাদ মেটাতে সেই অর্থে বড় কোনও সাফল্যও মেলেনি। এহেন পরিস্থিতিতে বৈঠকের উদ্দেশ্য হচ্ছে, পূর্ব লাদাখে (Ladakh) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘর্ষের কেন্দ্রগুলি থেকে সেনা প্রত্যাহার ও শান্তি বজায় রাখা।

সম্প্রতি ভারতের আপত্তি উড়িয়ে শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা বন্দরে নোঙর ফেলে চিনা (China) জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’। চিনা ‘নজরদারি’ জাহাজ শ্রীলঙ্কার সমুদ্র উপকূলে নোঙর ফেলায় উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি (Delhi)। লাদাখ সীমান্ত নিয়ে অসন্তোষের মধ্যেই এই ঘটনায় দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এহেন পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে বেজিংয়ের মুখে শোনা যায় একদম অন্য কথা। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন। কিন্তু সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে তা যে সম্ভব নয়, রাষ্ট্রসংঘে ষেই কথাই চিনকে মনে করিয়ে দিল ভারত।

[আরও পড়ুন: নিশানায় মোদি-শাহ? ফিদায়েঁ ISIS জঙ্গিকে আটক করল রাশিয়া]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার