সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের পাক সেনার উপর মারণ হামলা বিদ্রোহী সংগঠন বালোচ লিবারেশন ফ্রন্টের (BLF)। পাকিস্তানের ঝাও, বারখান, তুম্প এবং তুরবতের একাধিক জায়গায় হামলা চালিয়েছে বালোচিস্তানের স্বাধীনতাকামী এই সংগঠন। এই হামলায় পাকিস্তানের অন্তত ১০ জন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএলএফ।
সোমবার এক বিবৃতিতে বিএলএফ মুখপাত্র মেজর গোহরাম বালোচ বলেন, গত ২৮ নভেম্বর দুপুর ১টা নাগাদ আওরান জেলার ঝাও এলাকায় তাদের যোদ্ধারা পাকিস্তানী সেনার একটি কনভয়ে হামলা চালায়। সেখানে টহলরত একটি সেনা জওয়ানদের উপর হামলার পাশাপাশি দুটি সাঁজোয়া যানের উপর হামলা চলে। এই হামলায় ৮ জওয়ানের মৃত্যুর পাশাপাশি ২ জওয়ান গুরুতর আহত হয়েছেন। এই হামলার পর সেনার আর একটি গাড়ি মৃত ও আহত সৈনিকদের সেখানে ফেলেই পালিয়ে যায়।
গোহরামের দাবি, সেই রাতেই দ্বিতীয় হামলা চলে বরখান জেলায় রাখনি এলাকায়। সেখানে একটি সেনা ক্যাম্প লক্ষ্য করে চলে হামলা। রকেট লঞ্চার ও গ্রেনেড দিয়ে এই হামলা চালান হয়। সেখানে মৃত্যু হয় ২ জনের। আহত হন আরও একজন। ২৮ ডিসেম্বর তৃতীয় হামলা চলে তুম্পের গোমাজি এলাকায়। সেনা ক্যাম্প লক্ষ্য করে সেখানেও ব্যাপক গোলা ছোড়ে বিদ্রোহীরা। সেখানেও একাধিক পাক জওয়ান হতাহত হয়েছে বলে অনুমান বালোচদের। এছাড়া গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে তুরবতে পাকিস্তানের নৌসেনা ক্যাম্পে। এই হামলায় আহত হয়েছেন বহু সেনা জওয়ান। বালোচিস্তান পোস্টকে দেওয়া বিবৃতিতে বিএলএফ জানিয়েছে, স্বাধীন বালোচিস্তানের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সেই হামলা জারি থাকবে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান থেকে আলাদা হতে চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে বালোচিস্তানের জনগণ। পাক সেনার অকথ্য নির্যাতনের প্রতিবাদে সেখানে তৈরি হয়েছে সশস্ত্র সংগঠন বালোচ লিবারেশন আর্মি। এই বাহিনীকে দমন করতে গোটা বালোচিস্তানে অত্যাচারের সীমা পার করেছে পাকসেনা। পালটা আসছে প্রত্যাঘাত। বর্তমানে আফগানিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত পাকিস্তান। পাশাপাশি শাহবাজ সরকারের ঘুম ছুটিয়েছে আর এক বিদ্রোহী সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান। গুরুতর এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বালোচ সংগঠনও হামলার ঝাঁজ বাড়াল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
