shono
Advertisement

চিনে আবারও করোনার রক্তচক্ষু! রাতারাতি জারি লকডাউন, বন্ধ স্কুল

বাতিল হয়েছে বহু উড়ান।
Posted: 12:46 PM Oct 22, 2021Updated: 12:46 PM Oct 22, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের চিনে (China) মাথাচাড়া দিয়েছে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ। তা যাতে ফের নাগালের বাইরে না যায় সেজন্য ইতিমধ্যেই সতর্ক প্রশাসন। বাতিল হয়েছে বহু উড়ান। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল। সেই সঙ্গে বহু এলাকাতেই ফের লকডাউন শুরু হয়েছে। মূলত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম চিনেই বেড়েছে ভাইরাসের প্রকোপ।

Advertisement

কেন হঠাৎ এভাবে বাড়াবাড়ি শুরু হল চিনে? প্রশাসনের দাবি, বাইরে থেকে আসা পর্যটকদের থেকেই নতুন করে সংক্রমণের গ্রাফের এই ঊর্ধ্বগতি। তাঁদের একটি বড় অংশই বর্ষীয়ান নারী-পুরুষরা। তাঁদের থেকেই ফের বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। ফলে প্রশাসন ফের অত্যন্ত কড়াকড়ি শুরু করেছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন বিনোদন পার্ক কিংবা পর্যটন ক্ষেত্রগুলি। সকলেরই করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। যে করে হোক, সংক্রমণকে ফের নিয়ন্ত্রণে আনতে মরিয়া বেজিং।

[আরও পড়ুন: ১০০ কোটি মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন, মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী]

অন্যান্য দেশগুলি যেখানে কোভিড বিধি অনেক ক্ষেত্রেই হ্রাস করে স্বাভাবিক জনজীবন ফেরাতে পদক্ষেপ করছে, সেখানে চিন কিন্তু আগাগোড়াই অনেক বেশি সাবধানী রয়েছে। আর সেই কারণেই বিভিন্ন প্রদেশের সীমান্তরেখা বন্ধ রাখা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে করোনা পরীক্ষার সংখ্যাও।

রিপোর্ট বলছে, গত পাঁচ দিন ধরেই লাগাতার বেড়ে চলেছে সংক্রমণ। দেখা গিয়েছে যে পর্যটকদের থেকে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে তাঁরা সাংহাই থেকে জিয়ান, গান্সু প্রদেশে গিয়েছিলেন। মঙ্গোলিয়ার অভ্যন্তরেও গিয়েছিলেন তাঁরা। তাই ওই এলাকাগুলির দিকে আলাদা নজর রাখা হচ্ছে। ওই পর্যটক ও তাঁদের সংস্পর্শে আসা বিভিন্ন ব্যক্তিদের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। যে সব অঞ্চলে লকডাউন চলছে, সেখানে সমস্ত জনগণকে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে না বেরনোর কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা বেরোচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে রাখতে হচ্ছে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট।

[আরও পড়ুন: অব্যাহত দুঃসময়! FATF-এর ধূসর তালিকা থেকে রেহাই পেল না পাকিস্তান]

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চিনের ইউহান শহর থেকেই প্রথম ছড়াতে শুরু করেছিল কোভিড-১৯ সংক্রমণ। এরপর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। শুরু হয় অতিমারী। কিন্তু চিন দ্রুত সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছিল। কিন্তু একবার ফের, সেদেশে করোনার সংক্রমণের রক্তচক্ষু দেখে সতর্ক প্রশাসন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement