সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আত্মপ্রকাশ করল চিনা নৌসেনার সবচেয়ে বড় রণতরী। ১০ হাজার টনের এই নয়া জেনারেশন ডেস্ট্রয়ারকে চিনের কমিউনিস্ট সরকারের ‘স্বপ্নের প্রকল্প’ বলে অভিহিত করেছে। নয়া রণতরীটি যে চিনা নৌসেনাকে একধাক্কায় অনেকটাই শক্তিশালী করে তুলল, সে কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
সাংহাইয়ের জিয়াংগনান শিপইয়ার্ডে এই রণতরীটি তৈরি হয়েছে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে। এধরনের ডেস্ট্রয়ার চিনে এই প্রথম তৈরি হল। এতে রয়েছে নয়া এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, অ্যান্টি-মিসাইল, অ্যান্টি-শিপ ও অ্যান্টি-সাবমেরিন অস্ত্রশস্ত্র, জানিয়েছে চিনা সংবাদ সংস্থা। নয়া ডেস্ট্রয়ারটি চিনা মিলিটারি ও নৌসেনাকে কয়েক গুণ বেশি শক্তিশালী করে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক দফায় রণতরীটি পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রত্যেকটি পরীক্ষাতেই সসম্মানে উতরে গিয়েছে নয়া রণতরীটি।
[মোদিকে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রধানমন্ত্রী বলে দাবি ইজরায়েলি মিডিয়ার]
তবে চিনের এই রণতরী ভারতের মাথাব্যথা বাড়িয়েছে। আমেরিকা ও ভারতকে টক্কর দিতে ভারত মহাসাগরে নয়া রণতরীটি নামাতে পারে চিন। চিনা বন্দর থেকে বহুদূরে কোথাও যুদ্ধে জড়ালে কী করে লড়তে হবে, ব্যাটল গ্রুপ তৈরি করতে হবে, সেটাই এখন বেজিংয়ের গবেষণার মূল বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারগুলিকে রক্ষা করতে এই নয়া রণতরীকে জলে নামানো হতে পারে। এই মুহূর্তে চিনা নৌসেনার ন্যাভাল ফরমেশনে রয়েছে জিনান, ইনচুয়ান, ফ্রিগেট ইয়ানটাই ও জে-১৫ ফাইটার জেট। নয়া জেনারেশন ডেস্ট্রয়ারটি ওই ব্যাটল গ্রুপে যোগ দিলে শত্রুপক্ষের রক্তচাপ বাড়াবে বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।