সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে মতের অমিল থাকলেও অন্যান্য বিষয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, এমনটাই দাবি করলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই (Chinese Foreign Minister)। দুই দেশের ঐক্য এতটাই বেশি, যে বিরোধীরা তার সামনে দাঁড়াতেই পারে না। সেই সঙ্গে আরও বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে বিশ্বাসের সম্পর্ক মজবুত করতে হবে। দ্বিপাক্ষিক কূটনীতিতে সন্দেহ দূর করে এগিয়ে যেতে হবে দুই দেশকে। সেই সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করতে হবে। চিনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রদীপ রাওয়াতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ওয়াং। ব্রিকস (BRICS) সম্মেলনের আগে এই বৈঠককে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।
এই বৈঠকে ওয়াং (Wang Yi) জানিয়েছেন, দুই দেশ আসলে বন্ধু। তাই কোনও ক্ষেত্রে যদি একে অপরকে প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করা হয়, সেটা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকারক। এই প্রসঙ্গে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং চিনা প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিংয়ের আলোচনার কথা উল্লেখ করেছেন ওয়াং। তিনি আরও বলেছেন, নানা ক্ষেত্রে দুই দেশের উচিত একে অপরের পাশে দাঁড়ানো। তা না করে যদি অন্য পক্ষকে ছোট করে দেখা হয়, সেটা ঠিক নয়। একে অপরকে সন্দেহ না করে বিশ্বাসের সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।
[আরও পড়ুন: ধ্বংসস্তূপে সোনালি আলো, আফগানিস্তানের ভূমিকম্পে পরিবারের সকলকে হারানো শিশুর ছবি ভাইরাল]
এই বৈঠকের পরে ভারতীয় দূতাবাসের তরফ থেকেও একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখা খুবই জরুরি বলে মত পোষণ করেছেন প্রদীপ রাওয়াত। তবেই ভারত-চিন ঐক্যের কথা বোঝা যাবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। লাদাখে (Ladakh) সীমান্তের সমস্যা সমাধান না হলে চিনের সঙ্গে স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখা সম্ভব নয় বলেও দাবি করা হয়েছিল ভারতের তরফ থেকে। তবে চিনের দাবি, নানা আন্তর্জাতিক বিষয়ে ভারতের সঙ্গে একই রকমের অবস্থান গ্রহণ করেছে বেজিং। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ক্ষেত্রেও ভারতের অবস্থানের প্রশংসা করেছে চিন। তবে কিছুদিন আগেই ভারত ও আমেরিকার যৌথ প্রস্তাবে পাক সন্ত্রাসবাদী আবদুল রহমান মাক্কিকে নিষিদ্ধ করতে বাধা দিয়েছিল চিন।
কিছুদিন পরেই ভারচুয়ালি ব্রিকস বৈঠক হতে চলেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের ভারতের বন্ধু বলে প্রমাণ করতে চাইছে চিন। সেই কারণেই ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এই বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু এখনও লাদাখে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে চিন। প্রসঙ্গত, গতকালই গালওয়ানের(Galwan) ঘটনা নিয়ে ভারতের পাশে দাড়িয়েছে কোয়াড সদস্য অস্ট্রেলিয়া। এহেন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই সুর নরম করছে বেজিং, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।