সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরে নিজের পদ ও দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন ডেনমার্কের রানি দ্বিতীয় মার্গারেট। ছেলে প্রিন্স ফ্রেডরিক তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। রবিবার বর্ষবরণের আগে ডেনমার্কের একটি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে অংশ নেন মার্গারেট। সেখানেই রানির দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেন ৮৩ বছর বয়সি মার্গারেট।
আগামী ১৪ জানুয়ারি ছেলে প্রিন্স ফ্রেডরিকের হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়ে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন মার্গারেট (Margrethe II)। অসুস্থতার কারণেই তিনি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান বলে জানিয়েছেন রানি। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর সফল অস্ত্রোপচার হয়েছিল। এই বিষয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, অস্ত্রোপচারের পর ভবিষ্যৎ চিন্তাভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় পরবর্তী প্রজন্মের হাতে দায়িত্বভাব অর্পণ করে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ১৫৫ বার কাঁপল জাপান, নিহত অন্তত ১৩, কিশিদা বলছেন, ‘ক্ষতি হয়েছে বিস্তর’]
প্রসঙ্গত, ১৯৪০ সালে জন্মগ্রহণ করেন মার্গারেট। তাঁর বাবা ছিলেন ডেনমার্কের প্রাক্তন রাজা নবম ফ্রেডরিক। মা ইনগ্রিড। বাবা মারা গেলে মাত্র ৩১ বছর বয়সে ডেনমার্কের রাজ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হয়েছিলেন তিনি। ১৯৭২ সালে। ডেনমার্কের সংবিধান সংশোধনের পর সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন দ্বিতীয় মার্গারেট। প্রায় ৫২ বছর রানির দায়িত্ব পালন করার পর সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। ইউরোপে সবচেয়ে বেশিদিন রানির দায়িত্ব পালনের রেকর্ড রয়েছে দ্বিতীয় মার্গারেটের।
উল্লেখ্য, ডেনমার্কে নির্বাচিত পার্লামেন্ট ও তাদের সরকারের হাতেই সমস্ত ক্ষমতা ন্যস্ত। রাজা বা রানি দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকেন। ব্রিটেনের রাজা বা রানির মতো তাঁর অধিকার সুরক্ষিত করা হয়েছে ডেনমার্কের সংবিধানে। দায়িত্ব থেকে রানি দ্বিতীয় মার্গারেটের সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুলেছেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডরিকসন। আজীবন দায়িত্ব পালনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। রানিকে ডেনমার্কের প্রতিমূর্তি বলে বর্ণনা করেছেন। সেই সঙ্গে জাতির সেবায় তাঁর কাজ ডেনমার্কবাসী মনে রাখবেন বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ফ্রেডরিকসন।