সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করল ভারত এবং চিন। সূত্রের খবর, একটি তাঁবু এবং বেশ কিছু অস্থায়ী নির্মাণ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সীমান্ত থেকে। তবে এখনও পুরোপুরি প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়নি। আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে ডেপসাং এবং ডেমচকে শুরু হবে সেনার টহলদারি, ঠিক যেমনটা হত ২০২০ সালের আগে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রিকস সামিটে যোগ দেওয়ার ঠিক আগেই সেনা সরানো এবং ২০২০ সাল থেকে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলো সমাধান করতে দুই দেশ একমত হয়। মোদির সফরের আগে সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি। সেখানেই তিনি বলেন, ” গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত এবং চিনের মধ্যস্থতাকারীরা লাগাতার আলোচনা করেছেন। তার পরে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ।" তিনি আরও জানান, সামরিক তৎপরতা কমিয়ে কেবলমাত্র টহলদারির সেই পুরনো ব্যবস্থায় ফিরে যাবে দুই দেশ। চিনের তরফেও একই কথা জানানো হয় বিবৃতি জারি করে।
সেনা সরানো নিয়ে সহমত হওয়ার পরে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ আরও গলে ব্রিকস সম্মেলনে। গালওয়ান সংঘর্ষের পরে প্রথমবার বৈঠকে বসেন নরেন্দ্র মোদি এবং শি জিনপিং। ২০১৯ সালের পর এই প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। সেখানে মোদি সাফ জানিয়ে দেন, সীমান্তে শান্তি ফেরানোই অগ্রাধিকার।
তার পরেই বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল সেনা সরানোর প্রক্রিয়া। সূত্রের খবর, ১০-১২টি অস্থায়ী নির্মাণ এবং ১২টি তাঁবু রয়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দুই পাশে। তার মধ্যে আপাতত একটি তাঁবু সরানো হয়েছে। আগামী কয়েকদিন সময় লাগবে সীমান্ত থেকে সমস্ত কিছু সরিয়ে ফেলতে। ইতিমধ্যেই চারদিং নালা থেকে পশ্চিমে সরেছে ভারতীয় সেনা। পূর্বদিকে সরে গিয়েছে চিনা সেনাও। পরের সপ্তাহ থেকেই আবার স্বাভাবিক টহলদারি শুরু হতে পারে সীমান্তে।