সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এইচ-১বি ভিসার দাম বহুগুণ বাড়ানোয় জেরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই এবার ভিসা নীতিতে বদল আনল মার্কিন প্রশাসন। দক্ষ বিদেশি কর্মীদের নিজের দেশে ধরে রাখতে মঙ্গলবার মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতর ঘোষণা করেছে, এখন থেকে প্রচলিত লটারি পদ্ধতি নয়, অন্য পন্থায় দক্ষ কর্মীদের ভিসা দেওয়া হবে। নয়া এই নিয়ম চালুর প্রস্তাব ইতিমধ্যেই পেশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতর জানিয়েছে, পুরনো নিয়ম অনুযায়ী এতদিন বিদেশি কর্মীদের এইচ-১বি ভিসা দেওয়া হত লটারির মাধ্যমে। এতে বেশ কিছু সমস্যা ছিল। এই নিয়ম বাতিল করে নতুন নিয়ম চালু করা হবে। যার মাধ্যমে বিদেশি কর্মীদের বেছে নেওয়া হবে সরকারের তরফে। নয়া নিয়মের ফলে উচ্চ দক্ষতা এবং উচ্চ বেতনের বিদেশি কর্মীদের আমেরিকায় নিয়ে আসতে পারবে বিভিন্ন সংস্থা। এই নিয়ম লাগু হলে নিয়োগকারী সংস্থাগুলির সুবিধা হবে। সব বেতনস্তরে এইচ-১বি ভিসা প্রাপ্ত কর্মীদের নিয়োগ করতে পারবে সংস্থাগুলি। নয়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, চারটি বেতনস্তরে কর্মীদের ভিসা দেওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হবে। সবচেয়ে উচ্চ বেতনের (১৬২,৫২৮ মার্কিন ডলার) কর্মীরা চারবার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। নিম্ন বেতনের কর্মীরা এই সুযোগ পাবেন একবার। যার অর্থ নবাগতদের সেভাবে সুযোগ থাকবে না।
সম্প্রতি এইচ-১বি ভিসা সংক্রান্ত নিয়মে বদল এনেছে আমেরিকা। এবার থেকে মার্কিন সংস্থাগুলিকে এক-একটি এইচ-১বি ভিসার জন্য এককালীন এক লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৮ লক্ষ টাকা) করে সরকারকে দিতে হবে। এমন সিদ্ধান্তে আমেরিকার ভূমিপুত্রদের একাংশ খুশি হলেও ঘুম উড়েছে আমেরিকা প্রবাসী বিদেশিদের। বড় আঘাত এসেছে ভারতীয়দের উপরে। কারণ এই মুহূর্তে আমেরিকায় এইচ-১বি ভিসার সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী ভারতীয় কর্মীরা। ফলে কঠোর নীতির সমালোচনাও শুরু হয়েছে। তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যাঁদের ইতিমধ্যেই এইচ-১বি ভিসা রয়েছে, এবং তাঁরা কোনও কারণে বাইরে রয়েছেন, তাঁদের দেশে পুনঃপ্রবেশের ক্ষেত্রে কোনও টাকা দিতে হবে না। তবে যাঁরা নতুন করে এইচ-১বি ভিসার জন্য আবেদন করবেন এই নয়ম তাঁদের জন্য প্রযোজ্য হবে।
