সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তুঙ্গে বৃহস্পতি। মার্কিন মসনদে প্রত্যাবর্তনের পর আরও 'ধনী' হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফোর্বস প্রকাশিত ধনকুবেরদের নয়া তালিকায় তাঁর স্থান ৭০০ নম্বরে। সেই সঙ্গেই পরিসংখ্যান তুলে ধরতে গিয়ে জানানো হয়েছে, ২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে গত এক বছরে ট্রাম্পের মোট সম্পদের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৫.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
১৯৮২ সালে প্রথমবার ফোর্বসের ধনী তালিকায় নিজের নাম তুলতে পেরেছিলেন ট্রাম্প। সেই সময় তাঁর সঙ্গেই এক আসনে ছিলেন বাবা ফ্রেড ট্রাম্প। তাঁদের সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ ছিল ২০০ মিলিয়ন ডলার। বরাবরই রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা থেকেই প্রতিপত্তি ট্রাম্পের। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অবশ্য বেশ চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়তে হয়েছে তাঁকে। বা়ডতে থাকা সুদের হার, অনলাইন শপিং ও অফিস স্পেসের সঙ্কোচনের মতো নানা ফ্যাক্টর এক্ষেত্রে বড় হয়ে উঠেছে। ফলে গলফ কোর্স, বিলাসবহুল সম্পত্তি, মদের কারখানা ও বোয়িং ৭৫৭ তথা 'ট্রাম্প ফোর্স ওয়ান'-এর মালিকানা সত্ত্বেও আর্থিক চাপের মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার উপর নিউ ইয়র্কের আদালতে পড়তে হয়েছে বড়সড় জরিমানার মুখে। ৪৫৪ মিলিয়ন ডলারের জরিমানার পাশাপাশি তাঁর ৪০ ওয়াল স্ট্রিটের বিল্ডিংটিও বাজেয়াপ্ত করতে চেয়েছিল আদালত।
এতরকম প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ট্রাম্পের সম্পদ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। কীভাবে? এর পিছনে রয়েছে ট্রাম্পের ধুরন্ধর বুদ্ধি। একদিকে নিজের সোশাল মিডিয়া 'ট্রুথ'-এর মূল সংস্থাটি জনান্তিকের সামনে প্রকাশ করা। শেষপর্যন্ত উল্লেখযোগ্য ক্ষতির মুখে পড়েও মার্চের শেষে সংস্থার ২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের শেয়ার ছিল ট্রাম্পের। এরই পাশাপাশি গত বছর ট্রাম্প লঞ্চ করেন এক ক্রিপ্টো কারেন্সির প্রোজেক্ট। 'ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফিনান্সিয়াল' নামের সেই প্রকল্পের লক্ষ্যই ছিল নতুন বিনিয়োগকারী। প্রাথমিক ভাবে তেমন সাড়া না পাওয়া গেলেও ট্রাম্প নির্বাচনে জিততেই ছবিটা বদলে যায় আমূল। তাছাড়া 'ট্রাম্প' নামের একটি ডিজিটাল টোকেনও তিনি বাজারে এনেছেন। আর তাতেই বিপুল লাভের মুখ দেখতে হয়েছে তাঁকে।