সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে মুখোমুখি দুই যুযুধান। শুক্রবার ওভাল অফিসে বৈঠক করবেন নিউ ইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রুথ সোশালের একটি পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, 'নিউ ইয়র্ক সিটির কমিউনিস্ট মেয়র জোহরান মামদানি বৈঠক করতে চেয়েছেন। আমরা সিদ্ধান্তে নিয়েছি, শুক্রবার ওভাল অফিসে এই বৈঠক হবে।' এই বৈঠক প্রসঙ্গে অন্যান্য তথ্য পরবর্তীকালে জানানো হবে বলেছেন ট্রাম্প।
প্রথম থেকেই মামদানির নীতির সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। ৪ নভেম্বরের নির্বাচনের ঠিক আগে নিউ ইয়র্কের বাসিন্দাদের সতর্ক করে তিনি বলেন, মামদানির জয় নিউ ইয়র্ক সিটির জন্য "সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিপর্যয়" হবে। যদিও সব বিরোধীতা উপেক্ষা করে বিপুল জয় পান মামদানি। এরপরই আক্ষেপের সুর শোনা যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলায়। তিনি বলেন, "আমেরিকা কিছুটা সার্বভৌমত্ব হারালো।"
তিনি বলেন, "আমি বহু বছর ধরেই সতর্ক করে আসছি, বিরোধীরা আমেরিকাকে একটি কমিউনিস্ট কিউবা, সমাজতান্ত্রিক ভেনেজুয়েলায় পরিণত করতে বদ্ধপরিকর। আপনারা দেখছেনে সেই জায়গাগুলির কী হয়েছিল।" মার্কিন প্রেসিডেন্টের সতর্কবার্তা, মামদানির শাসনাকালে যখন নিউ ইয়র্ক কমিউনিস্ট হয়ে উঠবে, তখন নিউ ইয়র্কবাসী ফ্লোরিডায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে।
অন্যদিকে, জয়ের মঞ্চ থেকেই ট্রাম্পকে একহাত নেন মামদানি। ট্রাম্পকে পালটা কটাক্ষ করেন নিউ ইয়র্কের হবু মেয়র। বলেন, "ট্রাম্প, আমি জানি আপনি আমার কথা শুনছেন। আমার আপনাকে চারটি শব্দ বলার আছে: আরও জোরে চিৎকার করুন।" তাঁর সংযোজন, "নিউ ইয়র্কে ট্রাম্প জন্মগ্রহণ করেছেন। কীভাবে তাঁকে পরাজিত করতে হয়, তার পথ এই শহরই দেখাবে। আমি দুর্নীতির অবসান ঘটাবো।"
১ জানুয়ারি নিউ ইয়র্কের মেয়র হিসাবে শপথ নেবেন মামদানি। তিনিই হবেন নিউ ইয়র্ক সিটির প্রথম মুসলিম মেয়র। পাশাপাশি, নিউ ইয়র্কের গত ১০০ বছরের ইতিহাসে ৩৪ বছর বয়সি মামদানিই হবেন কনিষ্ঠতম মেয়র।
নিউ ইয়র্কের বাসিন্দাদের জন্য সস্তায় খাদ্য,বস্ত্র এবং বাসস্থানের লড়াই করা 'কমিউনিস্ট' মামদানির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। সম্পর্কের শৈত্য কাটিয়ে হাত মিলিয়ে কাজ করবেন দুই বিপরীত মেরুর নেতা, নাকি আসলেই শহরের কেন্দ্রীয় অনুদান বন্ধ করে দেবেন ট্রাম্প, জানা যাবে বৈঠকের পরে।
