সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনপ্রিয় প্রসাধনী দ্রব্য প্রস্তুতকারক কোম্পানি ডাভের (Dove) বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন আমেরিকার (US) বহু মানুষ। সম্প্রতি মার্কিন মুলুকের ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের সমর্থক জিয়ানহা ব্র্যায়ান্টকে অ্যাম্বাসাডর করেছে ডাভ। আর তারপর থেকেই সেদেশে শুরু হয়েছে ডাভ বয়কট করার ট্রেন্ড।
কিন্তু ২২ বছরের সমাজকর্মীর প্রতি কী কারণে এত ক্ষোভ? ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ‘ফ্যাট লিবারেশনে’র সমর্থক। কিন্তু তিনি বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তাঁর ভুল অভিযোগে এক শ্বেতাঙ্গ ছাত্রী মর্গ্যান বেটিংগারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পরে। তাঁর দাবি ছিল, ওই পড়ুয়া ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনকারীদের ‘গুড স্পিড বাম্পস’ বলে গালি দিয়েছেন। অর্থাৎ কার্যত ইঙ্গিত করেছেন আন্দোলনকারীদের গাড়িচাপা দেওয়ার । কিন্তু পরে জানা যায়, ওই তরুণী এমন কিছু বলেননি। বরং তিনি আন্দোলনকারীদের সমর্থনই করেছিলেন। কিন্তু জিয়ানহা ব্র্যায়ান্টের অভিযোগে ওই তরুণীকে শাস্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে।
[আরও পড়ুন: দেশ ডুবেছে ঋণের অন্ধকারে, তবু পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা বাড়িয়েই চলেছে পাকিস্তান!]
এরপর থেকেই বহু মার্কিন ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে। এমতাবস্থায় সেই বিতর্কিত তরুণীকেই অ্যাম্বাসাডর করায় এবার ডাভের প্রতিও বাড়ছে ক্ষোভ। ওই সংস্থার সাবান বা অন্যান্য সামগ্রী আর ব্যবহার করবেন না বলে জানিয়েছেন আমেরিকার বহু নাগরিক।