সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবেগের নাম দুর্গাপুজো। আবেগের নাম বাঙালিয়ানা। আর এই দুই আবেগ সুদূর দক্ষিণ জার্মানির মিউনিখ শহরে মিলেমিশে একাকার। সদস্য সংখ্যায় দক্ষিণ জার্মানি তথা পাশ্চাত্য মূল ভূখণ্ডের অন্যতম বৃহৎ ভারতীয় বাঙালিদের সংগঠন ‘সম্প্রীতি মিউনিখ’। ২০১৪ সালে পথচলা শুরু করে ২০১৯ সালে প্রথম দুর্গাপূজা। ভালোবাসা ও আবেগের ‘শারদ সম্প্রীতি’র এবার পঞ্চম বর্ষ।
ধুমধাম করে ২০১৯ সালে উত্তর মিউনিখের (Munich) এক সভাগৃহে আত্মপ্রকাশের পরই ২০২০-তে কোভিড-১৯-এর (COVID-19) প্রকোপে শারদ সম্প্রীতি অনুষ্ঠিত হয় এক সদস্যের বাড়িতে। সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনে। তবে ২০২১ সালে পুজো ফের অনুষ্ঠিত হয় পুরনো জায়গাতেই। যদিও কোভিড তখনও প্রকট। তাই কেবল মাত্র সদস্যদেরই ছিল প্রবেশাধিকার। ২০২২ সালে সদস্য সংখ্যা ২০০ ছুঁই ছুঁই। এবারও পুরোপুরি খোলা গেল না সবার জন্য, সভাগৃহের অনুমোদিত জনসাধারণ ক্ষমতা লঙ্ঘন বেআইনি।
[আরও পড়ুন: বিয়ে এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য বদলে গেল রাজস্থানের ভোটের দিন! সিদ্ধান্ত কমিশনের]
২০২৩ সালে তাই শারদ সম্প্রীতির পঞ্চম বর্ষ উদযাপন হতে চলেছে মিউনিখ শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত সুবিশাল এক ঐতিহ্যবাদী সভাগৃহ মিউনিখ ফ্রাইহাইটসহালে। মহাসপ্তমীর উদ্বোধনে উপস্থিত থাকবেন কনস্যুলেট জেনারেল অফ ইন্ডিয়া, মিউনিখ, হিজ এক্সেলেন্সি মোহিত যাদব, মিউনিখ সিটি কাউন্সিলের সম্মাননীয় সদস্য টমাস লেখনার ও মিউনিখ তথা দক্ষিণ জার্মানির আরও কিছু বিশিষ্ট সুধীজন।
এই পুজোয় (Durga Puja 2023) থাকছে পাঁচদিনের দারুণ হুল্লোড়। ষষ্ঠীতে আনন্দমেলা, পরবর্তী দিনগুলোয় বিরাট আকর্ষণ মায়ের সামনে ডান্ডিয়া রাস, ছোট ও বড়দের বাংলা নাটক, বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের পার্বণী নাচের অনুষ্ঠান, আসল ঢাকের বাদ্যি, ব্যান্ডের গান, বরণ, সিঁদুর খেলা এবং অবশ্যই দুবেলা কবজি ডুবিয়ে খাওয়া দাওয়া। পুজোর দায়িত্বে কলকাতার পুরোহিতমশাই। সুদূর জার্মানির বুকে, প্রবাসীর আবেগে, এ যেন এক প্রবাসী ম্যাডক্স স্কোয়ার, রাতদিন আড্ডা আর শারদীয়ার মজা।