সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের পর এবার সিঙ্গাপুরে ভূমিকম্প। কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৮। উৎসস্থল ভারত মহাসাগরে ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার গভীর রাতে ১টা বেজে ২৪ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এখনও পর্যন্ত কম্পনের জেরে দেশটিতে ক্ষয়ক্ষতির কথা জানা যায়নি। প্রাথমিক ভাবে সুনামি সতর্কতা জারি করেনি আবহাওয়া দপ্তর। কম্পনের উৎসস্থল থেকে দূরে হওয়ায় ভারতীয় উপকূলে প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
কাছাকাছি সময়ে গভীর রাতে কেঁপে উঠেছে গ্রিসও। সেখানেও কম্পনের মাত্রা এক (৪.৮) । গ্রিসে ভূমিকম্প অনুভূত হয় রাত ২টো বেজে ৮ মিনিটে। মাটির নিচে ৪৬ কিলোমিটার গভীরতা থেকে ছড়িয়ে পড়ে কম্পন। সেখানেও সুনামি সতর্কতা জারি হয়নি এখনও পর্যন্ত। উল্লেখ্য, গত ৯ নভেম্বরও ভারত মহাসাগরের তলদেশে ভূমিকম্প হয়। কম্পন অনুভূত হয় ইন্দোনেশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। বিগত দশকে আরও তীব্র ভূমিকম্প হয়েছে সেখানে। ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বরের ভূমিকম্পের কথা স্মরণযোগ্য। সেবার উত্তর সুমাত্রার কাছে ৯.২ থেকে ৯.৩ তীব্রতায় ভূমিকম্প হয়, যার প্রকোপে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড এবং অন্য ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল মিলিয়ে ২ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
এক সপ্তাহ আগে গত শুক্রবার সকালে নরসিংদী এলাকার মাধবদীতে ৫.৭ মাত্রার কম্পনে কেঁপে ওঠে বাংলাদেশে। বলা হচ্ছে, গত ১০০ বছরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় কম্পন সেদেশে। ঢাকাতেও কম্পন অনুভূত হয়। শিশু-সহ মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে শুক্রবারের ভূমিকম্পে। নরসিংদীতে সর্বোচ্চ, ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রচুর বাড়িঘর নষ্ট হয়েছে। বড় বড় ইমারত, রাস্তাঘাটে ফাটল ধরেছে। ঢাকার প্রশাসনিক কর্তারা জানাচ্ছেন, কম্পন যদি আর ১০ সেকেন্ড স্থায়ী হতো, বড় বিপর্যয় ঘটতো। ইতিমধ্যে ইঞ্জিনিয়াররা বিভিন্ন সরকারি পরিদর্শন করেছেন। কোনও কোনও ভবনে ফাটল ধরেছে। তা দ্রুত মেরামত করার ব্যবস্থা চলছে।
