shono
Advertisement

মায়ানমারে নির্বাচনের আগেই আত্মসমর্পণ রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে তাড়ানোয় অভিযুক্ত বৌদ্ধ সাধুর

দেড় বছর ধরে কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ওই ব্যক্তির।
Posted: 07:12 PM Nov 04, 2020Updated: 07:12 PM Nov 04, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেড় বছর ধরে পলাতক থাকার পর জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন মায়ানমারের ফায়ারব্র্যান্ড বৌদ্ধ সাধু আশিন উইরাথু। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে মায়ানমার (Myanmar) -এর জনমানসে। ২০১২ সালে রাখাইন প্রদেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গা মুসলিমদের সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের যে সংঘর্ষ হয়েছিল তার নেপথ্যে কট্টরপন্থী এই বৌদ্ধ সাধু ছিলেন বলেই দাবি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলির। এর জন্য তাঁকে ‘বৌদ্ধ বিন লাদেনে’র তকমাও দিয়েছিল তারা।

Advertisement

মায়ানমারের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের মে মাসে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় মায়ানমারের সর্বোচ্চ নেত্রী আন সাং সুচি (Aung San Suu Kyi)’র তীব্র সমালোচনা করেন আশিন উইরাথু (Ashin Wirathu)। অপমানসূচক কথাবার্তা বলেন। শুধু তাই নয়, ওই সভা থেকে মায়ানমারে মিলিটারি শাসনের উপকারিতার কথা বোঝাতে গিয়ে দেশের সংসদে থাকা সেনা প্রতিনিধিকে ভগবান বুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেন। তাঁর এই সভার ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে আদালতে মামলা দায়ের হয়। দেশদ্রোহিতা ও জাতিগত বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে। সরকারি পক্ষের বক্তব্য শোনার পরেই উইরাথুর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক। আর তারপর থেকেই পলাতক ছিলেন ওই ফায়ারব্র্যান্ড বৌদ্ধ সাধু।

[আরও পড়ুন: মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের নির্বাচনে জয়ী চার ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী]

সোমবার ইয়াঙ্গনের একটি পুলিশ স্টেশনে ঢোকার আগে অল্প কয়েকজন অনুগামীর সামনে আগামী রবিবারের জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে মন্তব্য করতে দেখা যায় আশিন উইরাথুকে। তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা আমার অনুগামী সাধুদের কাছে একটাই অনুরোধ করব। তাঁরা যেন তাঁদের অনুসরণকারী মানুষদের দেশের উন্নয়ন ও ধর্মকে রক্ষা করার জন্য যে দল কাজ করবে তাকে ভোট দিতে বলেন। আজ আমি যে পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছি তা সরকারের জন্যই। আপনারা শয়তানের দোসর বর্তমান শাসকদলকে পরাজিত করে এর উপযুক্ত জবাব দিন। এখন আমি পুলিশের কাছে যাব এবং তারা যেটা চাইবে সেটাই করব।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী রবিবার মায়ানমারের জাতীয় নির্বাচন। ২০১৫ সালের মতো এবারও বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতা দখলের সম্ভাবনা রয়েছে বর্তমান শাসকদল ন্যাশনাল লিগ অব ডেমোক্রেসির (National League for Democracy)।

[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে খ্রিস্টান কিশোরীকে ধর্মান্তকরণের পর জোর করে বিয়ে মুসলিম ব্যক্তির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement