shono
Advertisement
Mossad

মোসাদের চালেই একজোট ইরানের সেনাকর্তারা! কীভাবে 'হাইপ্রোফাইল' মৃত্যুফাঁদ ইজরায়েলের

মোসাদ গুপ্তচরদের ফাঁদে পা দিয়ে সে রাতে বৈঠকে বসেন ইরানের সেনাকর্তারা।
Published By: Amit Kumar DasPosted: 06:10 PM Jun 14, 2025Updated: 06:52 PM Jun 14, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র-সহ ইরানের শীর্ষ সেনা আধিকারিকদের এক পলকে শেষ করে দিয়েছে ইজরায়েল। নিখুঁত পরিকল্পনায় ইরানকে ধরাশায়ী করার পর ফের একবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ। সঠিক সময়, প্রযুক্তি, নিখুঁত তথ্যের ভিত্তিতে চালানো হয় এমন মারণ হামলা। ইজরায়েলের তরফে জানানো হয়েছে দীর্ঘ বছরের পরিকল্পনার পর চালানো হয়েছে এই হামলা। শুধু তাই নয়, ইরানের শীর্ষ সেনা আধিকারিকদের একত্রিত করার জন্যও জাল বিছিয়েছিল ইজরায়েল।

Advertisement

জানা যাচ্ছে, 'অপারেশন রাইজিং লায়ন'-এর নিখুঁত পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছিল অনেক আগে। যার উদ্দেশ্য ছিল ইরানের সামরিক ঘাঁটি ও পরমাণু কেন্দ্রগুলি গুঁড়িয়ে দেওয়া। সেইমতো আগেই ইরানের মাটিতে গোপনে পাঠানো হয় ড্রোন। ইরানেই ইজরায়েলি ড্রোনের গোপন ঘাঁটি তৈরি করা হয়। মোসাদের এজেন্টরা যে সেখানে ড্রোন মোতায়েন করছে তা টেরও পায়নি ইরান। সমস্ত প্রস্তুতি সারার পর ড্রোনগুলি অপেক্ষা করছিল সঠিক সময়ের। এরপর ইহুদি সেনার অনুমোদনে হামলার সময় বেছে নেওয়া হয় বৃহস্পতিবার রাত। মোট তিন ধাপে চলে হামলা। প্রথম ধাপে ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও অস্ত্রঘাঁটিকে নিশানা করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে ধ্বংস করা হয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। তৃতীয় ধাপে আকাশ থেকে নিশানা করা হয় ইরানের মিসাইল লঞ্চারগুলি। প্রতিটি হামলার ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয় ড্রোন।

এর পরের ধাপে ইরানের পরমাণু ঘাঁটি ও ইউরেনিয়াম সংক্রান্ত গবেষণাকেন্দ্রগুলিকে নিশানা করে। ইজরায়েলের দাবি প্রায় ২০০টি যুদ্ধ বিমান ইরানের শতাধিক লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করে। শুধু তাই নয়, ইরানের সেনাকর্তাদের হত্যা করতেও বড়সড় পরিকল্পনা করে ইজরায়েল। সেনা আধিকারিকদের একজোট করতে পাতা হয় ফাঁদ। সেখানে ভুয়ো বৈঠকের নামে সকল সেনাকর্তাদের একজোট করা হয়। ইজরায়েলের এক আধিকারিক জানান, মোসাদ ইরানের সেনাকর্তাদের মধ্যে গুপ্তচর ছড়িয়ে দেয়। যারা সেনাকর্তাদের বিশ্বাস অর্জন করে। এবং তাঁদের সকলকে একজোট করতে নির্দিষ্ট একটি আবাসনে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সমস্ত পরিকল্পনা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর ওই দিনেই সেখানে হামলা চলে। এই হামলায় ইরান বিপ্লবী গার্ডের জেনারেল হুসেইনি সালামি, সেনাপ্রধান মহম্মদ বাঘেরি, বায়ুসেনার প্রধান-সহ অন্যান্য আধিকারিকদের মৃত্যু হয়। মারণ এই হামলাতেই স্পষ্ট যে কীভাবে নিখুঁত ছকে এই হামলা চালিয়েছে মোসাদ ও ইহুদি সেনা। মনে করা হচ্ছে ১৯৮০ সালে ইরাক যুদ্ধের পর ইরানের উপর এটাই সবচেয়ে বড় আঘাত।

কার্যত অসম্ভব এই অভিযানকে সম্ভব করার পর তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি জানান, ইজরায়েলের উপর সম্ভাব্য হামলা এড়াতে এই অভিযান চালিয়েছে তারা। তাঁর কথায়, ''আমরা যদি এটা না করতাম তাহলে আমাদের অস্তিত্ব থাকত না। আমরা ইতিহাস থেকে শিখেছি, শত্রু যদি বলে আমরা তোমাদের ধ্বংস করব তাহলে তাদের কথা বিশ্বাস করো। তারা যদি সেই লক্ষ্যে নিজেদের শক্তিবৃদ্ধি করে তবে সেখানেই তাদের থামাও।''

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র-সহ ইরানের শীর্ষ সেনা আধিকারিকদের এক পলকে শেষ করে দিয়েছে ইজরায়েল।
  • ঠিক সময়, প্রযুক্তি, নিখুঁত তথ্যের ভিত্তিতে চালানো হয় এমন মারণ হামলা।
  • মোসাদ গুপ্তচরদের ফাঁদে পা দিয়ে সে রাতে বৈঠকে বসেন ইরানের সেনাকর্তারা।
Advertisement