সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে বড় সাফল্য পেলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ছ’টি আসনের উপনির্বাচনে জয় পেল ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (PTI)। সাতটি আসনে লড়ে ছ’টিতেই জয় পেয়েছে পিটিআই। প্রত্যেক আসনেই পরাস্ত হয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের দল ও তাঁর জোটসঙ্গীরা।
রবিবার পাকিস্তানের মোট আটটি আসনে উপনির্বাচন (By Election) হয়। সেখানে সাতটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন পিটিআই প্রার্থীরা। ছ’টি আসনে জেতে ইমরানের দল, তার মধ্যে অন্যতম প্রধান কেন্দ্র মুলতান। এই আসনটি আগে পিটিআইয়ের দখলে থাকলেও পরে তা ইমরানের হাতছাড়া হয়। সেইসঙ্গে পাঞ্জাব প্রদেশের নির্বাচনেও দু’টি আসনে জয় পেয়েছে পিটিআই। তবে এখনও সরকারি ভাবে এই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।
[আরও পড়ুন: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ বাইডেনের, ঘরে বাইরে প্রবল চাপে লিজ ট্রাস]
বেসরকারি ভাবে ভোটের ফল জানতে পেরে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত পিটিআই। দলের নেতা ফাওয়াদ চৌধুরি বলেছেন, মানুষ চাইছে দেশের নেতৃত্বে বদল আসুক। দেশজুড়ে নতুন করে নির্বাচনের ঘোষণা করুক সরকার। টুইট করে ফাওয়াদ আরও বলেছেন, “নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতেও তৈরি আমরা।” প্রসঙ্গত, রবিবারের নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে হলেও বেশ কিছু জায়গায় ভোট লুটের অভিযোগ এনেছে পিটিআই। শাহবাজ শরিফের দলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ আনা হয়েছে।
উপনির্বাচনের ফলাফলে ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকারের শরিক দলগুলি। বিশেষজ্ঞদের অনুমান,পাকিস্তানের অর্থনীতির বেহাল দশা সামাল দিতে জেরবার শরিফের সরকার। তারপরে বিধ্বংসী বন্যায় বিপর্যস্ত হয়েছে পাকিস্তানের অন্তত এক তৃতীয়াংশ মানুষ। বন্যার পরে ত্রাণ বন্টন নিয়েও একাধিক বার বিক্ষোভের মুখে পড়েছে পাক সরকার। সব মিলিয়ে ক্রমশই শাহবাজের পায়ের তলা থেকে মাটি সরতে শুরু করেছে। কিন্তু পাকিস্তানে ফের নির্বাচন কবে হবে, তা এখনও জানা নেই। তবে ইমরান খানের জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে, একথা অনস্বীকার্য।