সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানবিক সাহায্যের নামে দেওয়া অনুদানের ফায়দা তুলছে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি। এই যুক্তিতে ‘নিষিদ্ধ’ সংগঠনগুলির মানবিক সহায়তার উপর থেকে যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আনা প্রস্তাব ঘিরে ভোটাভুটিতে অংশ নিল না ভারত।
শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ‘নিষিদ্ধ’ সংগঠনগুলির মানবিক সহায়তার উপর থেকে যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য একটি প্রস্তাব পেশ করে আমেরিকা ও আয়ারল্যান্ড। ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রস্তাবটিকে সমর্থন করে ১৪টি সদস্য দেশ। একমাত্র ব্যতিক্রম সভাপতি ভারত। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি তথা নিরাপত্তা পরিষদের নবনির্বাচিত সভাপতি রুচিরা কম্বোজ নয়াদিল্লির এই অবস্থান ব্যাখ্যা করে স্পষ্ট জানান, লস্কর-ই-তইবার মতো জেহাদি সংগঠনগুলি মানবিক সাহায্যের ফায়দা তুলছে। এটা সবার জানা. তাই এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সমস্ত দিক ভেবে নেওয়া উচিত। উল্লেখ্য, ১ ডিসেম্বরই এক মাসের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্বের দায়িত্ব এসেছে ভারতের হাতে।
[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের মাঝেই কাতারের স্টেডিয়ামে মার্কিন সাংবাদিকের মৃত্যু, সমকামিতাকে সমর্থনের খেসারত?]
এদিন কম্বোজ বলেন, “বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত গোষ্ঠীগুলিকে নিষিদ্ধ করার দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপু্ঞ্জের ১২৬৭ কমিটির ‘সন্দেহজনক’ তালিকায় থাকা সংগঠনগুলিকে মানবিক সাহায্যের কাজে অনুমতি দেওয়ার আগে যথাযথ সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন।” পাকিস্তানের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “আমরা সবাই জানি রাষ্ট্রপু্ঞ্জের ১২৬৭ কমিটির ‘সন্দেহজনক’ তালিকায় থাকা বেশকিছু সংগঠন রাষ্ট্রের মদতপ্রাপ্ত। আন্তর্জাতিক মঞ্চে সেগুলির পরিচয় সন্ত্রাসবাদী হিসেবে রয়েছে।”
উল্লেখ্য, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে (Afghanistan) মানবিক সাহায্যের নামে প্রচুর অনুদান আসে। অভিযোগ, সেই টাকার অনেকটাই চলে যায় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির হাতে। ইজরায়েলের সঙ্গে লড়াইয়ের পর গাজাতে নিজেকে ফের শক্তিশালী করে তুলতে ত্রাণে আসা অর্থ ছিনিয়ে হাতিয়ার কেনার চেষ্টা করছে হামাস বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাই ভারতেপ এই অবস্থানের যথেষ্ট কারণ রয়েছে।