সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল তার ধর্মীয় বৈচিত্র্য, মত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden)। কিন্তু এই মন্তব্য করার দিনেই একেবারে বিপরীত মন্তব্য করলেন তাঁরই পূর্বসুরি বারাক ওবামা (Barak Obama)। তাঁর মতে, সংখ্যালঘু মুসলিমদের রক্ষা করা নিয়ে সচেতন হতে হবে হিন্দুপ্রধান ভারতের সরকারকে। তা না হলে যেকোনও দিন ভেঙে পড়তে পারে ভারত।
নজির গড়ে আমেরিকার স্টেট ভিজিটে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। হোয়াইট হাউস থেকে শুরু করে মার্কিন কংগ্রেস-সর্বত্রই সাড়ম্বরে অভ্যর্থনা পেয়েছেন তিনি। যৌথভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বক্তব্য রেখেছেন। তবে মোদির সফরের (USA) মধ্যেই একাধিকবার অস্বস্তি বাড়িয়েছে ভারতের মানবাধিকার প্রশ্ন। মার্কিন সেনেট ও কংগ্রেসের সদস্যদের ৭৫ জন মিলে ভারতের গণতন্ত্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাইডেনকে চিঠি দিয়েছিলেন। যদিও বাইডেন বলেছেন, ভারত ও আমেরিকার একটাই বৈশিষ্ট্য- ধর্মীয় বৈচিত্র্য।
[আরও পড়ুন: কমিশনের দাবি ছিল ৮০০, আপাতত ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, জারি বিজ্ঞপ্তি]
মোদির সফর চলাকালীনই একটি সাক্ষাৎকার দেন বারাক ওবামা। তিনি বলেন, “মোদিকে আমি খুব ভাল করে চিনি। এখন যদি তাঁর সঙ্গে কথা হয়, তাহলে ভারতের সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রসঙ্গে আলোচনা করবই। এখন যদি সরকার তাঁদের অধিকার রক্ষা না করে তাহলে যেকোনোও সময়ে ভারতে ভাঙন ধরতে পারে। দেশের মধ্যে এইরকম বিভেদ হলে তার ফল কী হতে পারে তা সকলেই আন্দাজ করতে পারেন। ভারতের জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে সংখ্যালঘুদের অধিকার বজায় রাখতেই হবে।”
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যকালেও মার্কিন সফরে গিয়েছিলেন মোদি। ওবামাকে নিজের ‘বন্ধু বারাক’ বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। সেই ‘বন্ধু’র মন্তব্যকে হাতিয়ার করে মোদির বিরোধিতায় সরব হয়েছে কংগ্রেস। ওবামার সাক্ষাৎকারের ভিডিও টুইট করে দলের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতে বলেন, “মোদির বন্ধু বারাকের একটি বিশেষ বার্তা আছে। তাহলে কি ধরে নেব আন্তর্জাতিক মহলও মোদিজীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে? ভক্তরা তো নিশ্চয়ই সেটাই দাবি করবে। প্রসঙ্গত, মার্কিন কংগ্রেসেও মুসলিমদের বিরোধিতার মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মুসলিম-সহ ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের প্রতিবাদে মোদির বক্তৃতা বয়কট করেছেন মার্কিন কংগ্রেসে দুই মুসলিম মহিলা প্রতিনিধি।