সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবিলম্বে ইউক্রেনে (Ukarine) থাকা ভারতীয়দের দেশ ছেড়ে বেরিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস। মঙ্গলবার নতুন করে নির্দেশিকা জারি করেছে ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস। মাত্র এক সপ্তাহ আগেই একইরকমের নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। পরমাণু হামলার আশঙ্কায় ভারতীয়দের ইউক্রেন ছেড়ে বেরিয়ে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহ আগের নির্দেশিকা মেনে অনেকেই ইউক্রেন ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে ডার্টি বম্ব ছুঁড়তে পারে রাশিয়া, এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যুদ্ধের তীব্রতা বাড়তে পারে, সেই আশঙ্কা থেকেই ভারতীয়দের ইউক্রেন ছাড়তে বলা হয়েছে।
নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “১৯ অক্টোবর ভারতীয় দূতাবাসের (Indian Embassy) তরফে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। সেখানেই বলা হয়েছিল, ইউক্রেনে থাকা সকল ভারতীয় যেন তাড়াতাড়ি দেশ ছেড়ে চলে যান। ইতিমধ্যে অনেকেই ইউক্রেন থেকে বেরিয়ে এসেছেন। কিন্তু এখনও অনেকেই ইউক্রেনে রয়েছেন।” সেই সঙ্গে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে বিশেষ কয়েকটি হেল্পলাইন নম্বরও প্রকাশ করা হয়েছে। ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ রোমানিয়া, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার তরফ থেকেও ভারতীয়দের ইউক্রেন ছাড়তে সাহায্য করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: কাঁটায় ভরা অক্ষতা-ঋষির প্রেমকাহিনি, জামাই হিসেবে সুনাককে মানতে দ্বিধা ছিল নারায়ণমূর্তির!]
শীতের সময়কে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক হামলা (Russia-Ukraine War) চালাবে রুশ সেনা, এমনটাই অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই জন্যই আপাতত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিকে বিকল করে দিচ্ছে রাশিয়া, যেন ঠাণ্ডার মধ্যে কাবু হয়ে পড়ে ইউক্রেনবাসী। এহেন পরিস্থিতি থেকে ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধার করে আনতে বদ্ধপরিকর সেদেশের দূতাবাস। প্রসঙ্গত, বছরের প্রথম দিকে রাশিয়আ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে ইউক্রেন থেকে প্রায় ২০ হাজার ডাক্তারি পড়ুয়াকে উদ্ধার করে আনা হয়েছিল। কিন্তু এখনও সেদেশে অনেক ভারতীয়ই রয়ে গিয়েছেন। তাঁদের উদ্দেশেই বারবার করে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে রুশ সেনা। এহেন পরিস্থিতিতে ইরানের শরনাপণ্ণ হচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিন। কয়েকদিন আগেই আমেরিকা দাবি করেছিল ইউক্রেন যুদ্ধে এবার সরাসরি শামিল হয়েছে ইরানের সেনা। রুশ সেনাদের ড্রোন চালনার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তারা। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জনসংযোগ ব্যবস্থাপক জন কিরবি দাবি করেন, ইউক্রেনের রুশ অধিকৃত ক্রাইমিয়া (Crimea) অঞ্চলে পৌঁছে গিয়েছে ইরানি ফৌজের একটি বিশেষ দল। ইতিমধ্যেই রুশ সেনার হাতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তুলে দিয়েছে ইরান।