সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাড্ডাহাড্ডি টক্কর চলছে কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে। শেষপর্যন্ত কে হবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, তা জানা যাবে অচিরেই। আপাতত যা দেখা যাচ্ছে, লড়াই শেয়ানে শেয়ানে চলছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যদি ট্রাম্প 'ফটো ফিনিশে' জিতে যান তাহলে তিনি অবশ্যই ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকদের একটি অংশকে ধন্যবাদ দেবেন- তরুণ ভারতীয় বংশোদ্ভূত পুরুষরা যে অংশের প্রতিনিধি।
যদিও মোট ভোটারদের মাত্র দেড় শতাংশ তরুণ মার্কিন ভারতীয় বংশোদ্ভূত পুরুষরা। তবে ২০১০ থেকে ২০২০ সালের জনগণনার মধ্যেই তাঁদের সংখ্যা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একসময় এই ভোটারদের ডেমোক্র্যাটদের 'ভোটব্যাঙ্ক' বলেই মনে করা হত। কিন্তু আকস্মিক ভাবেই তারা ট্রাম্পপন্থী হয়ে গিয়েছেন। আসলে ভারতীয়-মার্কিন নাগরিকের এই দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রতিনিধিরা আরও উন্নতি করতে চান। আর তাঁদের কাছে সেই কারণে ট্রাম্পই তাঁদের পছন্দ। 'দেশি' কমলা হ্যারিসে তাঁদের আস্থা নেই। এমনটাই দাবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।
আসলে এর পিছনে রয়েছে ট্রাম্পের অনবদ্য 'রণকৌশল'। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা ও বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রতি হওয়া হিংসার মতো নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে দেখা গিয়েছে। এক পডকাস্টে 'হাউডি মোদি'র স্মৃতিচারণও করেছেন রিপাবলিকান নেতা। অন্যদিকে কমলা হ্যারিসের মধ্যে কিন্তু দেশীয় সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছনোর তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি। দেখা যাচ্ছে, 'বাদামি' ভোটারদের থেকে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতিই তিনি বেশি মনোযোগ দিয়েছেন প্রচারে।
তরুণ ভারতীয় বংশোদ্ভূত পুরুষরা মনে করেন, যেহেতু মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক 'বন্ধুত্বে'র। তাই ভারত-আমেরিকা সম্পর্কেরও উন্নতি হবে মার্কিন মসনদে তিনি বসলে। আর সেই কারণেই তাঁরা ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন। তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন যেভাবে বিশ্ব দ্রুত এগোচ্ছে এবং তাঁরা আর্থিক ও সামাজিক অবস্থানের দিক থেকে কিছুটা অনিশ্চয়তার মুখে। সেটা মাথায় রেখেই ট্রাম্প শিবির তাঁদের আস্থা জেতার চেষ্টা করেছেন প্রচারে। এবং এঁদের আস্থা সেভাবে অর্জন করতে পারেননি কমলা হ্যারিস। আর এর ফলই ব্যালট বাক্সে পড়বে। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলে।