সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হামাসের হয়ে প্রচার করার অভিযোগ। আমেরিকায় গ্রেপ্তার ভারতীয় গবেষক। বদর খান সুরি নামে জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই পড়ুয়াকে আমেরিকা থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে বলে খবর। সুরির বিরুদ্ধে প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত থাকারও অভিযোগ এনেছে মার্কিন অভিবাসন দপ্তর। কয়েকদিন আগেই প্যালেস্টাইনের সমর্থনে মিছিলে হাঁটা, স্লোগান তোলা, কখনও আবার হামাসের হয়ে গলা চড়ানোর অভিযোগে এক ভারতীয় পড়ুয়ার ভিসা বাতিল করে ট্রাম্প প্রশাসন।

জানা গিয়েছে, ভার্জিনিয়ায় নিজের বাড়ি রয়েছে সুরির। সোমবার রাতে সেখানেই হানা দেন কয়েকজন মাস্ক পরা ব্যক্তি। তাঁরা নিজেদের 'হোমল্যান্ড সিকিউরিটি' দপ্তরের অফিসার হিসাবে পরিচয় দেন। সুরিকে জানান, সরকার তাঁর ভিসা বাতিল করেছে। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। এনিয়ে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সহকারী সচিব ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন এক্স হ্যান্ডেলে জানান, 'সুরি জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈদেশিক মুদ্রা বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়ায় হামাসের প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। তিনি ইহুদি বিদ্বেষেরও প্রচার করতেন। আমাদের কাছে খবর রয়েছে, হামাসের অন্যতম শীর্ষ পরামর্শদাতার যোগ রয়েছে সুরির। ওই জঙ্গি সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তিনি। এই কার্যকলাপের জন্য গত ১৫ মার্চ বিদেশমন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএনএ ধারা ২৩৭(এ)(৪)(সি)(আই) এর অধীনে সুরিকে আমেরিকা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।'
গত দেড় বছর গাজায় হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের যুদ্ধ চলছে। প্রথম থেকেই এই লড়াইয়ে ইহুদি দেশটির পাশে রয়েছে আমেরিকা। যা নিয়ে প্রাক্তন মার্কিন বাইডেনকে কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি। গাজার মৃত্যুমিছিল নিয়ে ওয়াশিংটনের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখিয়ে প্যালেস্টাইনপন্থীরা। পড়ুয়াদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে একাধিক বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ও। মাঝেমধ্যেই প্যালেস্টাইনকে ‘মুক্ত’ করার দাবিতে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড হাতে পড়ুয়াদের মিছিলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। কারা এসব করছে, তা মার্কিন প্রশাসনের কড়া নজরদারিতে থাকে।
কয়েকদিন আগে এভাবেই রঞ্জনী শ্রীনিবাসন নামে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি-র ছাত্রী নজরে পড়েছিল মার্কিন প্রশাসনের। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, হামাস জঙ্গিদের সমর্থন করে তিনি নানা কার্যকলাপ করছেন। তাঁরও ভিসা বাতিল করে দেওয়া হয়। মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের তরফে তাঁকে আমেরিকা ছাড়ার জন্য ১১ মার্চ পর্যন্ত সময় দেয়। কিন্তু সেই ডেডলাইন শেষে হওয়ার আগে নিজেই আমেরিকা ছাড়েন রঞ্জনী।