সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে, সন্দেহ ছিল যুবকের। এই নিয়ে নিত্য ঝামেলা হত। রাগের বশে তিন বছরের শিশুপুত্রের গলা কেটে খুনের অভিযোগ উঠল ৩৮ বছরের ওই যুবকের বিরুদ্ধে। পুণের একটি লজ থেকে মাধব টিকেটি নামের ওই যুবককে মদ্যপ অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশি জেরায় শিশুপুত্রকে খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের বাসিন্দা মাধব ও স্বরূপার একমাত্র সন্তান তিন বছরের হিম্মত। পুণের একটি সংস্থায় কাজ করতেন প্রযুক্তিবিদ যুবক। স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে তুমুল অশান্তি হয় যুগলের মধ্যে। এক সময় শিশুপুত্রকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ছাড়েন মাধব। কিছুটা সময় একটি পানশালায় কাটান তিনি। সেখান থেকে সাড়ে বারোটা নাগাদ বেরিয়ে যান। এরপর একটি সুপার মার্কেটে এবং পরে চন্দন নগর এলাকার এক জঙ্গলে গিয়েছিলেন তিনি।
রাত গভীর হলেও স্বামী ও ছেলে বাড়ি না ফেরায় চন্দন নগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন উদ্বিগ্ন স্বরূপা। পুলিশ সিসিটিভি পরীক্ষা করে দেখে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ছেলের সঙ্গে দেখা গিয়েছে মাধবকে। এরপর সন্ধে ফের পাঁচটা নাগাদ মাধবকে দেখা যায়। বেশ কিছু জামাকাপড় কিনছেন। তখন সঙ্গে ছিল না ছেলে হিম্মত। মাধবের মোবাইলের টাওয়ারের অবস্থান দেখে তাঁর খোঁজ শুরু করে পুলিশ।
পুণেরই একটি লজে মত্ত অবস্থায় খোঁজ মেলে মাধবের। হুঁশ ফিরলে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তখন তিন বছরের সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন প্রযুক্তিবিদ। সেই সূত্র ধরেই জঙ্গল থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলার নলি কাটা ছিল বলে জানা গিয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কদিন আগেই কলকাতায় এক প্রযুক্তিবিদ আত্মহত্যা করেছেন। মনে করা হচ্ছে, মানসিক চাপের জেরেই চরম পথ বেছে নেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, অনেক টাকা বেতন পেলেও কাজের চাপে মনের দিক থেকে ভালো নেই প্রযুক্তি জগতের বহু পেশাদার। এর ফলে মেজাজ হারিয়ে চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন কেউ কেউ।