সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাবতীয় নজরদারি থেকে বেরিয়ে এসে এবার পারমাণবিক অস্ত্র বানাবে ইরান! সেরকম পদক্ষেপই করতে চলেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। জানা গিয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার পক্ষে রায় দিয়েছে ইরানের পার্লামেন্ট। উল্লেখ্য, এর আগে IAEA থেকে বেরিয়ে এসেছিল উত্তর কোরিয়া। এবার সেই পথে হাঁটতে চলেছে ইরানও।
ইরান পরমাণু বোমা বানাচ্ছে, এই ধারণা থেকে সেদেশে হামলা চালায় ইজরায়েল। বেশ কয়েকদিন দুপক্ষে সংঘর্ষ চলার পরে ইরানের উপরে হামলা চালায় আমেরিকাও। মার্কিন বোমার আঘাতে গুঁড়িয়ে যায় ইরানের তিনটি পরমাণু ঘাঁটি। একাধিক পরমাণু বিজ্ঞানী প্রাণ হারান এই সংঘর্ষে। ইরানের সেনাপ্রধান থেকে শুরু করে একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বেরও মৃত্যু হয়। শেষ পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় আপাতত থেমেছে ইরান-ইজরায়েল সংঘাত।
সংঘর্ষবিরতির পরদিনই IAEAর সঙ্গে সহযোগিতা শেষ করার পক্ষে একটি বিল পেশ হয় ইরানের পার্লামেন্টে। সেই বিলে গোটা পার্লামেন্ট সম্মতি দিয়েছে। সেদেশের গার্ডিয়ান কাউন্সিলের সম্মতি পেলেই আইনে পরিণত হবে এই বিল। সেখানে বলা হয়েছে, এরপর থেকে ইরানের পারমাণবিক কার্যকলাপে যদি নজরদারি চালাতে চায় IAEA, তাহলে ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিয়োরিটি কাউন্সিলের থেকে অনুমতি নিতে হবে রাষ্ট্রসংঘের শাখা সংগঠনটিকে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত ইরানের? সেদেশের পার্লামেন্টের স্পিকার মহম্মদ বাকের কালিবাফ জানান, IAEAর প্রস্তাবেই বলা হয়েছিল যে ইরান মারণাস্ত্র বিরোধী আদর্শ লঙ্ঘন করছে। সেই প্রস্তাবের ভিত্তিতেই ইরানে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। হামলার নিন্দাও করেনি IAEA। তাই যতদিন পর্যন্ত ইরানের পরমাণু গবেষণার নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না ততদিন পর্যন্ত IAEAর সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধ করবে ইরান। শুধু বিল পাশ করানোই নয়, কালিবাফ আরও জানিয়েছেন সেদেশের পরমাণু গবেষণা আরও জোরদার গতিতে শুরু হবে। উল্লেখ্য, IAEA থেকে বেরিয়ে এসে ইচ্ছামতো পরমাণু গবেষণা করছে উত্তর কোরিয়া। এবার কি সেই পথে হাঁটবে ইরানও?
