সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিরিয়ায় ভয়ংকর 'ভূমিকম্প বোমা' হামলা ইজরায়েলের। সোমবার যুদ্ধ বিমানের সাহায্যে সিরিয়ায় উপকূলবর্তী এলাকায় এই হামলা চালায় ইজরায়েল। দাবি করা হচ্ছে, এই হামলার তীব্রতা এতটাই ছিল যে ব্যাপকভাবে কেঁপে ওঠে মাটি। ভূমিকম্প হয় গোটা এলাকায়। ডেইলি মেলের রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার এই হামলা চালানো হয়েছে টার্টাস এলাকায়। ২০১২ সালের পর সিরিয়ায় এত বড় হামলা এই প্রথম।
সিরিয়ান অবজার্ভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের তরফে জানানো হয়েছে, ইজরায়েলের যুদ্ধবিমান 'সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট এবং সারফেস-টু-সার্ফেস মিসাইল ডিপো-সহ একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। যার জেরে বিস্ফোরণের মাত্রা আরও ভয়াবহ আকার নেয়। ঘটনার এক ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বিরাট আগুনের গোলা মাটি থেকে আকাশ ছুঁয়ে ফেলেছে। প্রথম বিস্ফোরণের শেষে পর পর বিস্ফোরণ চলতে থাকে ওই অঞ্চলে। বিস্ফোরণের পর আকাশ ছেয়ে যায় ধোঁয়ার মেঘে। এই বিস্ফোরণের জেরে স্বাভাবিক ভূমিকম্পের চেয়ে দ্বিগুণ দ্রুতগতিতে কম্পন অনুভুত হয়। কম্পনের তীব্রতা ছিল ৩.০।
বাসার আল আসাদের পতনের পর থেকে সিরিয়ায় লাগাতার হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। এবার যেখানে এই হামলা চালানো হয়েছে, সেই টার্টাস এলাকায় রয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর ঘাঁটি। নৌসেনা ঘাঁটির পাশাপাশি এই অঞ্চলে যুদ্ধ সামগ্রী জমায়েত করা হত। ১৯৭১ সালে টার্টাসে নৌসেনা ঘাঁটি গড়েছিল রাশিয়া। ভূমধ্য সাগরে প্রবেশের জন্য রাশিয়ার কাছে এই অঞ্চল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৫ সালে সিরিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার প্রবেশের পর এই অঞ্চলের অস্ত্রশত্র ডেলিভারির প্রধান পথ হয়ে ওঠে। সেখানে এবার ইজরায়েলে হামলায় স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল শুরু হয়েছে। গত বুধবারই ক্রেমলিনের মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, সিরিয়ার যে সব ঘাঁটি রয়েছে তার ভবিষ্যৎ ঠিক করতে সিরিয়ার নয়া প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে মস্কো।