সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশকে রক্ষা করতে যতদূর যেতে হয় আমরা যাব। তাই প্রয়োজন পড়লে ইরানে আরও ভয়ংকর হামলা চালাব। এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাটজ। শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কাটজ বলেন, “তেহরান যদি ইজরায়েলের দিকে চোখ তুলে তাকায় কিংবা ক্ষতি করার চেষ্টা করে, তাহলে তেল আভিভও চুপ করে বসে থাকবে না। ইরানে আরও ভয়ংকর হামলা চালাব আমরা।” কাটজের এই মন্তব্যের পরই প্রশ্ন উঠছে, মধ্যপ্রচ্যে কি তাহলে আবার বাজবে যুদ্ধের দামামা?
১২ দিন ব্যাপী চলা যুদ্ধের পর সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয়েছে দু’দেশই। এই পরিস্থিতিতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইজরায়েলের এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক দাবি করেছেন, ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকা যে হামলা চালিয়েছিল, তাতে সব ইউরেনিয়াম ধ্বংস হয়নি। বিশেষত, ইসফাহান এবং নাতানজে এখনও যে পরিমাণ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে, তার মাধ্যমে ইরান খুব সহজেই পরমাণু বোমা বানাতে পারে। যা ইজরায়েলের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের। তাৎপর্যপূর্ণভাবে তাঁর এই দাবির পরই ইরানকে হুমকি দিল কাটজ।
১৩ জুন ইরানে হামলা চালায় ইজরায়েল। সেই সময় থেকেই প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। একদিন পর সেই আশঙ্কা সত্যি করে ইজরায়েলে পালটা হামলা চালায় ইরান। ইরানের সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে আকাশপথে হামলা চালানো হয়। মৃত্যু হয় ইরান সেনার চিফ অফ স্টাফ মহম্মদ বাঘেরি, রেভোলিউশনারি গার্ডসের কমান্ডার হোসেন সালামি, ইরানের এমার্জেন্সি কমান্ডের কমান্ডার এবং দুই শীর্ষ সেনা আধিকারিকের। প্রাণ হারান ইরানের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আলি শামখানিরও। এছাড়াও পারমাণবিক গবেষণাকারী অন্তত ৯ জন বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়ছে বলে জানিয়েছে ইরান। ইরানের প্রত্যাঘাতে বারবার কেঁপে ওঠে তেল আভিভ-সহ গোটা ইজরায়েল।
পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয় ২২ জুন। ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে আমেরিকা। ইরানের তিন পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালায় মার্কিন বায়ুসেনা। জবাবে মিসাইল ছুড়ে ইজরায়েলকে ঝাঁজরা করে দেয় তেহরান। আমেরিকাকে শিক্ষা দিতে সিরিয়া-কাতার-ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতেও হামলা চালায় ইরান। এর মধ্যেই সোমবার ভোর রাতে ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প।
