সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজায় হামাসের সুড়ঙ্গ থেকে ৫ পণবন্দির দেহ উদ্ধার করল ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস। মৃতদের মধ্যে রয়েছে ৩ সেনা ও ২ সাধারণ নাগরিক। এমনটাই জানিয়েছে আইডিএফ। গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের বুকে বেনজির হামলা চালানোর পর তাদের অপহরণ করেছিল হামাস জঙ্গিরা। জেহাদিদের নিঃশেষ করতে গাজায় তীব্র আক্রমণ শানাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা।
সোমবার এক্স হ্যান্ডেলে এই খবর জানিয়েছে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। পোস্টে লেখা হয়েছে, গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে হামাসের টানেলে (Tunnel) অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ৫ পণবন্দির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৭ অক্টোবর তাঁদের অপহরণ করা হয়েছিল। দেহগুলো ইজরায়েলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আইডিএফের তরফে শোকজ্ঞাপন করে বলা হয়েছে, ‘তাঁদের স্মৃতি আশীর্বাদ হয়ে থাকুক।’ একই সঙ্গে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে কীভাবে অন্ধকার সুড়ঙ্গে ঢুকে তল্লাশি চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।
[আরও পড়ুন: অবশেষে স্বস্তি! ৩০৩ ভারতীয় নিয়ে ফ্রান্সে আটকে পড়া বিমান পেল ওড়ার অনুমতি]
বলে রাখা ভালো, গাজার ভূখণ্ডে মাটির ৮০ মিটার নিচে ছড়িয়ে রয়েছে হামাসের (Hamas) টানেল নেটওয়ার্ক, যার ব্যাপ্তি কয়েকশো কিলোমিটার। ওই সব সুড়ঙ্গের ভিতরে রয়েছে বাঙ্কার, হাতিয়ার ভাণ্ডার থেকে শুরু করে নানা ধরনের ফাঁদও। গাজার হাসপাতাল, মসজিদ, স্কুলের নিচে হদিশ মিলেছিল ‘দ্য মেট্রো’বা হামাসের সুড়ঙ্গ জালের। মাটির নিচের এই ডেরা থেকে বিভিন্ন হামাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ তুলেছে ইজরায়েল। এর আগে উত্তর গাজায় মাটির নিচে হামাসের ডেরা বিস্ফোরক ভরে উড়িয়ে দিয়েছিল ইজরায়েলি ফৌজ।
[আরও পড়ুন:ইজরায়েলের বোমাবর্ষণে ধূলিসাৎ গাজার শরণার্থী শিবির! মৃত অন্তত ৭০]
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে মার্কিন সংবাদপত্র দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, মাটির নিচে হামাসের ডেরা ধ্বংস করতে নতুন পন্থা নিয়েছে ইজরায়েলি সেনা। টানেলগুলোকে জলের তোড়ে ভাসিয়ে নাকি জেহাদিদের খতম করার পথে এগোচ্ছে ইহুদি দেশটি। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ই নাকি উত্তর গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের কয়েক কিলোমিটার উত্তরে বড় বড় পাঁচটি পাম্প বসিয়েছে ইজরায়েল বাহিনী। যে পাম্পগুলোর মাধ্যমে ঘণ্টায় কয়েক হাজার কিউবিক মিটার জল বের হয়। যদিও নতুন এই কৌশল সম্পর্কে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী অস্বীকার করলেও তারা জানিয়েছে, বিভিন্ন সামরিক উপায়ে হামাস জঙ্গিদের নিধন করা হচ্ছে।