shono
Advertisement

Breaking News

নিহত কান্দাহার বিমান অপহরণ কাণ্ডের মূলচক্রী জাহুর মিস্ত্রি!

গত ১ মার্চ জাহুরকে করাচিতে হত্যা করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
Posted: 07:50 PM Mar 07, 2022Updated: 07:57 PM Mar 07, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৯৯ সালে কান্দাহার (Kandahar Flight Hijack) বিমান অপহরণ কাণ্ডের পাঁচ মূলচক্রীর মধ্যে অন্যতম ছিল জাহুর মিস্ত্রি। নাম বদলে জাহির আখুন্দ হিসাবে সে বেশ কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানে গা ঢাকা দিয়েছিল।বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে পাকিস্তানে নিহত হয়েছে এই কুখ্যাত হাইজ্যাকার। গত ১ মার্চ জাহিরকে করাচিতে হত্যা করা হয় বলে জানা গিয়েছে। জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের বেশ কিছু শীর্ষ স্থানীয় নেতা জাহুরের শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন বলে খবর।

Advertisement

১৯৯৯ সালে  ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের (Indian Airlines) IC-814  বিমান অপহরণ করে জেহাদিরা। সেই ক্ষতে এখনও প্রলেপ পড়েনি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অনুমান করা যাচ্ছে, দুই বাইক আরোহীর হাতেই খুন হয়েছে জাহুর। ফার্নিচারের ব্যবসা ছিল কান্দাহার বিমান অপহরণ কান্ডের অভিযুক্ত জাহুরের। নিজের দোকানের বাইরেই খুন হয়েছে জাহুর, এমনটাই জানা গিয়েছে বিভিন্ন সূত্র থেকে। এই হত্যা সম্পর্কে বিশদ তথ্য থাকলেও মৃত ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে এখনও।

[আরও পড়ুন: ‘পাথরের মতো মজবুত আমাদের সম্পর্ক’, রাশিয়াকে নিয়ে মন্তব্য চিনের]

১৯৯৯ সালে কান্দাহার বিমানবন্দরে অপহরণকরীদের জামাই আদর করেছিল তৎকালীন তালিবান সরকার। বিমানে পণবন্দি যাত্রীদের উদ্ধারে যাতে ভারতীয় কমান্ডোরা কোনও ‘অপারেশন’ চালাতে না পারে সেই ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতে IC-814 বিমানের চারিদিকে সাঁজোয়া গাড়ি মোতায়েন করেছিল তালিবরা। একপ্রকার বাধ্য হয়ে জইশ-ই-মহম্মদের প্রতিষ্ঠাতা ও মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী মাসুদ আজহার, মুস্তাক আহমেদ জরগার ও ওমর সইদ শেখের মতো তিন কুখ্যাত জঙ্গিকে মুক্তি দিয়েছিল ভারত। আর সেই সব দিনের সাক্ষী ছিলেন ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর তৎকালীন প্রধান তথা ভারতের বর্তমান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। তিনি সাফ জানিয়েছিলেন যে অপহরণকারীদের মদত দিচ্ছিল আইএসআই। কান্দাহার বিমানবন্দরেও মজুত ছিলেন আইএসআই অফিসাররা। সেই ঘটনার পর প্রায় দু’দশক কেটে গিয়েছে। 

অমৃতসর বিমানবন্দর থেকে জ্বালানি না ভরেই লাহোরের (Lahore) উদ্দেশে রওনা দেয় এয়ারবাস এ-৩০০ বিমানটি। সেখান থেকে কান্দাহার বিমানবন্দরে পাড়ি দেয় সেটি। অবশ্য তার আগেই এক যাত্রীকে কুপিয়ে খুন করে জঙ্গিরা। ১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিভীষিকাময় অধ্যায় শেষ হয় ৩১ ডিসেম্বর। ভারতের মুক্তি দেওয়া তিন জেহাদিকে ও হাইজ্যাকারদের কোয়েটা পৌঁছে দেয় তালিবান। তারপর অন্য যাত্রীদের সঙ্গে মুক্তি পান অভিশপ্ত IC-814 বিমানের ক্যাপ্টেন দেবীশরণ। কিন্তু সেই ঘটনার ফল আজ ভোগ করতে হচ্ছে দেশকে। ২০০০ সালে জইশ প্রতিষ্ঠা করে কান্দাহারে মুক্তি পাওয়া মাসুদ আজহার। 

[আরও পড়ুন: নেতাদের সততা নিয়ে চ্যালেঞ্জেই বাজিমাত? বামেদের তাহেরপুর জয়ের হাতিয়ার নিয়ে জোর জল্পনা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement