সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চার বছরে পঞ্চমবার ভোটের দামামা বেজে গেল ইজরায়েলে। আগামী ১ নভেম্বর ফের সেদেশে ভোট হবে বলে জানিয়ে দিল প্রশাসন। সংসদ ভাঙতে প্রস্তাব পেশ করেছিল ইজরায়েল (Israel) সরকার নিজেই। তবে শেষ মুহূর্তে বেশ কিছু আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে সরকারের শরিক দলগুলি। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার সংসদে প্রস্তাব পাশ হয়। প্রত্যাশা মতোই দেশের প্রধানমন্ত্রীর কুরসিতে বসেছেন ইয়াইর লাপিদ (Yair Lapid)। মাত্র তিন মাসের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব সামলাবেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী।
ইজরায়েলের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট (Naftali Bennett) আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, নির্বাচনে লড়তে চান না তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর দল ইয়ামিনা পার্টির সব দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি নিয়েছেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে লাপিদ এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে। অনেকেই মনে করছেন, আমজনতার মধ্যে খুবই জনপ্রিয় নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। নির্বাচনে জিতে তিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন, এমন সম্ভাবনাই প্রবল।
[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! মেলেনি একফোঁটা জলও, লিবিয়ার মরুভূমি পেরতে গিয়ে মৃত্যু অন্তত ২০ শরণার্থীর]
স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশের পর থেকেই ইজরায়েলের (Israel) রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা ছিল না কখনও। কিন্তু সাম্প্রতিক কালের মতো এত বেশি রাজনৈতিক টানাপোড়েন এর আগে কখনও দেখেননি সেদেশের নাগরিক। ২০২১ সালে নির্বাচনের পরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনও দলই। সেই সময়েই লাপিদের দল ইয়েশ য়াতিদকে সমর্থন করেন বেনেট। ভিন্ন মতাদর্শের আটটি দলকে নিয়ে সরকার গঠন করেছিল মধ্যপন্থী দল ইয়েশ য়াতিদ। তার প্রভাব পড়ে সরকারি কাজে। কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে একমত হতে পারছিল না শরিক দলগুলি। সরকারের পতন অনিবার্য হয়ে পড়ে।
ইজরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে (Israel Prime Minister) অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, “ইজারায়েলের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন ইয়াইর লাপিদ। তাঁকে অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। চলতি বছরেই আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৩০ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। সেই কথা মাথায় রেখেই আমাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার চেষ্টা করা হবে।