সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর মাত্র ৩০ ঘণ্টার প্রাণবায়ু অবশিষ্ট রয়েছে টাইটান নামের ডুবোজাহাজটির। বিখ্যাত টাইটানিকের (Titanic) ধ্বংসাবশেষ ঘুরে দেখতে গিয়ে পর্যটকদের নিয়ে নিখোঁজ হওয়া ডুবোজাহাজটিকে খুঁজে বের করতে মরিয়া উদ্ধারকারী দলের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল সময়। মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনী ও কানাডার যৌথ উদ্ধারকারী বাহিনী আপ্রাণ চেষ্টা করছে ডুবোজাহাজটির সন্ধান পাওয়ার। অভিযানে নেমেছে ফ্রান্সের ডুবোজাহাজও।
উল্লেখ্য, পাঁচ পর্যটককে নিয়ে যাওয়া সাবমেরিনটি আটলান্টিক মহাসাগরে (Atlantic Ocean) জলের তলায় নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, সমুদ্রের প্রায় সাড়ে ১২ হাজার ফুট নীচে আটকে রয়েছে সাবমেরিনটি। রবিবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট নাগাদ টাইটানের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। তারপর থেকে আর খবর মেলেনি ডুবোজাহাজটির।
[আরও পড়ুন: স্ত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ, বদলা নিতে পরিবারের সবাইকে খুন! শেষে নিজেও আত্মঘাতী যুবক]
জানা গিয়েছে, সর্বোচ্চ ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন রয়েছে টাইটানে। শেষ পাওয়া খবরে, নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় সন্ধে ৬টার হিসেবে আর ৩০ ঘণ্টার অক্সিজেন রয়েছে সেখানে। ফলে ক্রমেই বাড়ছে উৎকণ্ঠা। আদৌ কি জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা যাবে ওই পর্যটকদের? তবে এরই মধ্যে আশার কথা, উদ্ধারকারী দলের সংগৃহীত তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, এখনও জীবনের লক্ষণ পাওয়া যাচ্ছে হারানো ডুবোজাহাজ থেকে। প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। সমুদ্রের ওই তলদেশে ঘুটঘুটে অন্ধকার। সেখানে নিজের মুখের সামনে হাত তুললেও দেখতে পাওয়া কঠিন। সেই সঙ্গে কনকনে শৈত্য। এমনটাই জানাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। যা থেকে সহজেই অনুমেয়, কতটা কঠিন এই অবস্থায় উদ্ধারকাজ চালানো।
প্রসঙ্গত, ওশানগেট নামে একটি সংস্থার তরফে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ ঘুরিয়ে দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। গত রবিবার যাত্রা শুরু করেন পাঁচজন। কিন্তু জলের তলায় যাওয়ার মাত্র পৌনে দু’ঘণ্টা পরেই স্থলভাগের সঙ্গে সাবমেরিনের সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ডুবোজাহাজের পর্যটকদের উদ্ধার করা যায় কিনা, সেদিকেই নজর সকলের।