সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মসজিদের ভিতরে ঢুকে পোস্টার দেওয়া এবং প্রার্থনারত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জয়পুরের বিজেপি বিধায়ক বালামুকুন্দ আচার্য এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে মানকচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন জামা মসজিদ কমিটির সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রার্থনা চলার সময় বিজেপি বিধায়ক ও তাঁর অনুগামীরা বিতর্কিত পোস্টার হাতে হঠাৎই মসজিদের ভিতরে ঢুকে পড়ে। এরপরই সেখানে উপস্থিত মানুষজনকে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি মসজিদের সিঁড়িতে ওই বিতর্কিত পোস্টার লাগিয়ে দেয়।
শুক্রবার রাতে এই ঘটনার পরেই জয়পুরের জরি বাজার এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার পরেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিপুর সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়ে বালামুকুন্দ আচার্যের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। ছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক আমিল কাজি এবং রফিক খান।
মসজিদ কমিটির সম্পাদক জাহিরউল্লা খান বলেন, “শুক্রবার জুম্মা নমাজের জন্য বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। তখনই বালামুকুন্দের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী মসজিদের ভিতরে ঢুকে পড়ে স্লোগান দিতে থাকেন। মসজিদের সিঁড়িতে একটি বিতর্কিত পোস্টার লাগিয়ে দেন তাঁরা। এই নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।”
যদিও যাঁর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ সেই বিজেপি বিধায়ক বালামুকুন্দ আচার্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিজেপি বিধায়ক জানান, তিনি জয়পুরের বাদি চৌপাদ এলাকায় একটি জনসভায় ছিলেন। যেখানে পহেলগাঁওয়ে নিহত পর্যটকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছিল। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং পাকিস্তানের নিন্দা জানিয়ে স্লোগানও দেওয়া হয়। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপি বিধায়ক লিখেছেন, “সর্ব হিন্দু সমাজের ডাকে জয়পুরের হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়ে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায়। পাকিস্তান মুর্দাবাদ, আতঙ্কবাদ মুর্দাবাদ স্লোগান দেওয়া হয়।”
জয়পুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রামেশ্বর সিং বলেন, “শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। তিন কোম্পানি আরএসি, এক কোম্পানি এসটিএফ এবং আরও এক কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাস্তায় রয়েছেন। এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
