সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজা-ইজরায়েল যুদ্ধের মাঝে তীব্র ইহুদি বিদ্বেষের সাক্ষী রইল আমেরিকার কলোরাডো। প্যালেস্টাইনের মুক্তির দাবিতে স্লোগান তুলে ইজরায়েলিদের এক জমায়েতে ককটেল বোমা ছুঁড়ল এক মধ্যবয়সি ব্যক্তি। বিস্ফোরণে জখম অন্তত ৬ জন। তাঁরা সকলেই দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের দাবি, এটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসবাদী হামলা। নেপথ্যে চরম ইহুদি বিদ্বেষ। রবিবার এই ঘটনার পর আতঙ্ক দানা বেঁধেছে কলোরাডোর বোল্ডার এলাকায়।
রবিবার গাজায় পণবন্দি থাকা ইজরায়েলিদের মুক্তির দাবিতে কলোরাডোর বোল্ডার শহরে এক মিছিল বেরিয়েছিল। শামিল ছিলেন সেখানকার ইজরায়েলি নাগরিকরা। সেই মিছিলেই আচমকা হামলা! প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, জিনস এবং কালো চশমা পরিহিত, ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত বছর পঁয়তাল্লিশের এক ব্যক্তি দু'হাতের বোতল ছুড়ে দেয় ওই মিছিল লক্ষ্য করে। সেইসঙ্গে ইজরায়েল বিরোধী সমস্ত স্লোগান শোনা যায় তাঁর গলায়। কখনও 'ফ্রি প্যালেস্টাইন', কখনও 'ওরা হত্যাকারী', কখনও আবার তার প্রশ্ন, 'কত শিশু মেরেছ তোমরা?' হামলার পর এসব কথা বলতে বলতেই সে ক্ষোভে ফেটে পড়ছিল। এদিকে, বিস্ফোরণে জখম হন একে একে ৬ জন। পুলিশ অবশ্য দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। জানা গিয়েছে, তার নাম মহম্মদ সাবরি সোলিমান।
বোল্ডার শহরের পুলিশ প্রধান স্টিফেন রেডফার্ন জানিয়েছেন, সোলিমানের এক হাতে ছিল আগুনবোমা, আরেকহাতে মলোটভ ককটেল। ইজরায়েলিদের মিছিলে দু'ধরনের বোমা নিয়েই সে হামলা চালিয়েছে। সেইসঙ্গে লাগাতার ইজরায়েল বিরোধী স্লোগান। সবমিলিয়েই তদন্তকারীরা মনে করছেন, এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত আক্রমণ। জখম ব্যক্তিদের বয়স ৬৭ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা। হামলার ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সোলিমানকে জেরা করে হামলার মোটিভ জানতে চাইছে পুলিশ। সত্যিই কি প্যালেস্টাইনের মুক্তির দাবিতে তাঁর ব্যক্তিগত আক্রমণ নাকি কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের হয়ে কাজ করছে? রয়েছে বহু প্রশ্ন।
