সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শরবত গুলা। সবুজ চোখের আফগান রমণী। গত শতকের আটের দশকে পাকিস্তানে বসবাসকারী এক আফগান উদ্বাস্তুর মুখ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে গিয়েছিল। সৌজন্যে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক পত্রিকা (National Geographic)। ন্যাট জিও নামেও যা পরিচিত। ভূগোল, ইতিহাস, প্রকৃতি, বিজ্ঞান এবং বিশ্ব সংস্কৃতির খবর তুলে ধরে মার্কিন এই মাসিক পত্রিকা কার্যত বিশ্বজয়ী হয়েছিল। কিন্তু সেই পত্রিকার ছাপাই এবার বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে! এমনটাই জানা যাচ্ছে এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সূত্রে।
সম্প্রতি অবশিষ্ট লেখক-কর্মীদের ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত ৯ মাসে এটা দ্বিতীয় ছাঁটাইয়ের ঘটনা। ২০১৫ সাল থেকে ধরলে চতুর্থ। জানা যাচ্ছে, এবার থেকে কেবল ফ্রিলান্সাররাই এখানে লেখার কাজ করবেন কিংবা সম্পাদকীয় বিভাগ অন্যভাবে লেখা জোগাড় করবে। বুধবার চাকরি গিয়েছে ১৯ জন লেখকের। গত এপ্রিলেই এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সম্ভাবনার কথা তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এমনকী তাদের যে ছোট্ট অডিও বিভাগ ছিল সেটিও বন্ধ করে দেওযা হয়েছে। আগামী বছরের গোড়া থেকে আর ছাপা হবে না পত্রিকাটি। বাড়তে থাকা খরচের ধাক্কাতেই এই সিদ্ধান্ত, এমনটাই জানা যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: নরম পানীয়ে লুকিয়ে ক্যানসারের বীজ? শিগগিরি বড় ঘোষণা করবে WHO!]
উনবিংশ শতাব্দীর শেষদিকে এই পত্রিকার প্রকাশ। সেটা ১৮৮৮ সাল। পৃথিবী তখন একেবারে অন্যরকম ছিল। আজকের দিনে মাউসের এক ক্লিকে কিংবা ফোনে একটা আলতো টোকায় গুচ্ছ তথ্য ও ছবি হাতের মুঠোয় চলে আসে। সেই সময় কিন্তু ছবিটা ছিল একেবারে উলটো। আর সেই সময়ই গোটা বিশ্বের অজানা নানা আকর্ষণীয় খবর তাদের পাতায় প্রকাশ করে সকলের মন জিতে নিয়েছিল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক। যত সময় গিয়েছে তত বেড়েছে তাদের ভক্তের সংখ্যা।
২০১৫ সাল থেকেই বলা যায় সমস্যার সূত্রপাত। সেই সময় একদফা ছাঁটাই হয়েছিল। ততদিন পর্যন্ত ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির সম্পূর্ণ মালিকানাধীন ছিল এই পত্রিকা। এরপর থেকেই তাদের অংশীদার হয় টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি ফক্স। পরে ডিজনি যোগ দেয় তাদের সঙ্গে। ২০২২ সালের হিসেব অনুযায়ী, পত্রিকাটির গ্রাহক ১৮ লক্ষ। তবে এবার বন্ধ হতে চলেছে পত্রিকার প্রকাশ। আর দেখা মিলবে না ছাপা পত্রিকার। তবে ডিজিটাল সংস্করণ প্রকাশিত হবে কিনা সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি এখনও।