সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়াতে গিয়েছিলেন। 'শত্রুপক্ষে'র বিরুদ্ধে এক সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার কথা ছিল উত্তর কোরিয়ার সেনার। কিন্তু তাঁদের হাতেই নিহত রুশ জওয়ানরা! এমনই তথ্য জানিয়েছে ইউক্রেনের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু কেন এই উলটপুরাণ?
৩ বছর পূর্ণ হবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। রণক্ষেত্রে রুশ ফৌজকে পালটা মার দিয়ে রণক্ষেত্রের ছবি বদলে দিয়েছে কিয়েভ। রাশিয়ার কার্স্ক অঞ্চলে ঢুকে পড়েছে কয়েক হাজার ইউক্রেনীয় সেনা। এখানে লড়াই করতেই বন্ধু ভ্লাদিমির পুতিনের দেশে ফৌজ পাঠিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উন। কিন্তু সেখানে গিয়ে দিশেহারা হয়ে গিয়েছে কিমের সেনা। এই মুহূর্তে কার্স্ক অঞ্চলে তুমুল লড়াই চলছে দুদেশের বাহিনীর মধ্যে। চারদিকে গুলি, গোলা-বারুদের কান ফাটানো আওয়াজ। ইউক্রেনের একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই হট্টগোলেই নাকি বিভ্রান্ত হয়ে যায় উত্তর কোরিয়ার ফৌজ। রুশ সেনার কমান্ড বুঝতে ভুল করে তারা। তাই বন্ধুকেই 'শত্রু' ভেবে এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে কিমের সেনা। যুদ্ধের ময়াদানেই প্রাণ হারান রাশিয়ার ৮ জওয়ান।
এই ঘটনায় চরম বিপাকে পড়েছে পুতিন বাহিনী। একদিকে, রণক্ষেত্রে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে। অন্যদিকে, কিমের সেনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। কৌশল অনুযায়ী যুদ্ধের ময়দানে তাদের সাজাতে রুশ সেনাপ্রধানদের সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে ভাষা। একে অপরের ভাষা বুঝতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। গত অক্টোবর মাসে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য রাশিয়ায় কমপক্ষে ১০ হাজার সেনা পাঠান কিম। কিন্তু নভেম্বর মাসে জানা গিয়েছিল, রাশিয়ায় গিয়ে নাকি পর্ন দেখছেন কিম জং উনের জওয়ানরা। সেদেশে অবাধ ইন্টারনেট পরিষেবা পেয়ে নীল ছবিতেই মজেছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উনের কঠোর শাসন নীতির কথা সর্বজনবিদিত। তাঁর নজর এড়িয়ে একটি মাছি গলার উপায় নেই দেশে। আর একনায়ক কিমের কঠোর নিয়মের বেড়াজাল ভাঙার চেষ্টা করলেই নেমে আসতে পারে মৃত্যুর খাঁড়া। অস্ত্রভাণ্ডারের দেখাশোনা থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন কিম। তাঁর সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর আর ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পান না জওয়ানরা। কিন্তু রাশিয়াতে গিয়ে এই প্রথমবার অবাধে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছেন তাঁরা। আর তারই ফল হল এই পর্ন আসক্তি। সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় কথা বলেন ব্রিটিশ সাংবাদিক গিডিয়ন ব়্যাচম্যান। কিমের সেনার কাণ্ডে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।