সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুইডেনে কোরান পোড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে বিতর্ক। ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে মুসলিম দেশগুলি। এবার সেই আগুনে নতুন করে ঘৃতাহুতি দিলেন ন্যাটো সামরিক জোটের প্রধান জেন্স স্টোলটেনবার্গ।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে কোরান বিতর্কে মুখ খোলেন স্টোলটেনবার্গ। তাঁর সাফ কথা, কোরান পোড়ানো বেআইনি নয়। ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, “এই বিষয়ের সঙ্গে যে আবেগ জড়িয়ে রয়েছে তা আমি বুঝি। যে ঘটনা ঘটেছে তা আগ্রাসী হলেও বেআইনি নয়। কোনও বিষয়ে আপত্তি থাকতেই পারে। তবে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থায় তা বেআইনি গণ্য হবে, এসনটা নাও হতে পারে।” অনেকেই বলছেন, ঘুরিয়ে বাকস্বাধীনতার দোহাই দিয়ে কোরান পোড়ানোকেই সমর্থন করেছেন স্টোলটেনবার্গ। এদিকে, এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে আমেরিকা।
[আরও পড়ুন: মোদির আমন্ত্রণে রাজি শরিফ, ভারতের নেতৃত্বে SCO বৈঠকে থাকছেন পাক প্রধানমন্ত্রী]
উল্লেখ্য, বাকস্বাধীনতার না ধর্মের শৃঙ্খল! কাম্য কোনটা? এই তর্কের শেষ নেই। তবে মুক্তমনাদের স্বর্গ হিসেবে সুইডেনের খ্যাতি বরাবরের। গত বুধবার ‘ফ্রি স্পিচের’ অধিকার বলে সেদেশে কোরান পুড়িয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন এক ইরাকি শরণার্থী। ইদের মাঝে এহেন ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে মুসলিম বিশ্ব।
সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে কোরান পুড়িয়ে প্রতিবাদ দেখান বছর সাঁইত্রিশের ইরাকি শরণার্থী সালওয়ান মোমিকা। শহরটির সবথেকে বড় মসজিদের সামনে ধর্মগ্রন্থটিকে কুচি কুচি করে ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। খণ্ডিত পৃষ্টাগুলিকে মাড়িয়েও দেন তিনি। স্থানীয় পুলিশ জানায়, বাকস্বাধীনতার নীতি মেনেই মোমিকার প্রতিবাদী কর্মসূচীকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছিল। তবে ওই ইরাকি শরণার্থীর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। ইদের মাঝে এহেন ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে মুসলিম বিশ্ব। প্রতিবাদের নামে কোরান পোড়ানোর অনুমতি দেওয়ায় সুইডেনকে একহাত নিয়েছে ইরাক, ইরান, সৌদি আরব-সহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ন্যাটো সামরিক জোটে সদস্যপদ পেয়েছে ফিনল্যান্ড। সেই পথেই এগোচ্ছে সুইডেনও। রাশিয়ার হুমকি সত্ত্বেও গতবছর দুই দেশের সদস্যপদে সিলমোহর দেয় মার্কিন সেনেট। এই পরিস্থিতিতে বৃহত্তর স্বার্থে কোনও মন্তব্য করে স্টোকহোমের বিরাগভাজন হতে চাইছে না ন্যাটো।