সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওসামা বিন লাদেনের (Osama Bin Laden) দুই সৎ ভাইয়ের কাছ থেকে তাঁর তহবিলের জন্য অনুদান নিয়েছিলেন প্রিন্স চার্লস (Prince Charles)। এমনই খবর প্রকাশ্যে আসার পরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে লন্ডনে ১০ লক্ষ মার্কিন ডলারের এই লেনদেন হয়। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৯ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা। ‘দ্য সানডে টাইমসে’ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনই দাবি করা হয়েছে।
৯/১১ হামলার নাটের গুরু লাদেনের দুই সৎ ভাই বকর বিন লাদেন ও সাফিক ওই অনুদান দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও লাদেনের এই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত দেওয়া কিংবা কোনওভাবে যুক্ত থাকারই কোনও প্রমাণ নেই, তবুও অনুদানের খবরে বিতর্ক ঘনিয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের ৩০ অক্টোবর লন্ডনের ক্লারেন্স হাউসে প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে ব্যক্তিগত বৈঠক করেন বকর বিন লাদেন ও সাফিক বিন লাদেন। তার ঠিক দু’বছর আগেই অ্যাবোটাবাদে মার্কিন সেনার গুলিতে নিহত হয় ওসামা বিন লাদেন।
[আরও পড়ুন: পাঠ্যবই থেকে পার্থর নাম সরানোর দাবি অনুপম হাজরার, পালটা দিল তৃণমূল]
জানা গিয়েছে, যুবরাজের কয়েকজন উপদেষ্টা তাঁকে ওই অনুদান নিতে বারণ করেন। কিন্তু চার্লস শেষ পর্যন্ত অনুদান নিতে সম্মত হয়ে যান। এই প্রসঙ্গে তাঁর দাতব্য তহবিল সংস্থা পিডবলিউসিএফের চেয়ারম্যান ইয়ান চ্যাশায়ার একটি বিবৃতিতে দাবি করেছেন, যথেষ্ট পর্যবেক্ষণের পরেই ওই অর্থ নেওয়া হয়েছিল। এবং তা নেওয়া হয়েছিল সংস্থার ট্রাস্টিদের সর্বসম্মতিক্রমে। তাই এর সঙ্গে চার্লসকে একা জড়ানো ঠিক হবে না। সেই সঙ্গে সংস্থার আরেক কর্তা জানাচ্ছেন, লাদেনের অপরাধের কারণে তার গোটা পরিবারকে কলঙ্কিত করা উচিত নয়।
তবে সংস্থার তরফে এমন জানানো হলেও বিতর্ক শুরু হয়েছে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতেই চার্লসের সংস্থায় এক সৌদি ব্যবসায়ী মাহফুজ মারেই মুবারকের করা অনুদান ঘিরেও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন করে তৈরি হল বিতর্ক।