সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টলমল পাকিস্তানের (Pakistan) অর্থনীতি। বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারে টান পড়েছে সে দেশের। এমন পরিস্থিতিতে সে দেশের অর্থনীতির পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার তথা আইএমএফ। কিন্তু শর্তসাপেক্ষে। আর সেই শর্ত মানতে গেলে পাকিস্তানে দাঙ্গা বেঁধে যেতে পারে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পাক পরিকল্পনা মন্ত্রী আহসান ইকবাল (Ahsaan Iqbal)। তাই শর্ত কিছুটা লঘু করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এই মুহূর্তে আর্থিক সংকট থেকে বাঁচতে পাকিস্তানের একমাত্র ভরসা IMF। গতবছরও মোটা অঙ্কের ঋণ দিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার পাকিস্তানকে দুরবস্থা থেকে বাঁচিয়ে তুলেছিল। কিন্তু এবছর সেটাও সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এহেন পরিস্থিতিতে সাড়ে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পেতে মরিয়া ইসলামাবাদ। কিন্তু এই ঋণ নিতে প্রচুর শর্ত চাপিয়েছে তারা। তারপরই এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের মন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: বর্ধমানে আসছেন ক্রিস গেইল, কিন্তু কেন?]
এ প্রসঙ্গে আহসান ইকবাল বলেন, “আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের শর্ত মানলে পাকিস্তানের মানুষজন সমস্যা পড়বেন। রাস্তায় রাস্তায় দাঙ্গা বেঁধে যাবে। তাই আইএমএফের উচিত শর্তভার কিছুটা লাঘব করা।” মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের জেরে অস্বস্তি বেড়েছে সে দেশের অন্দরেই।
উল্লেখ্য, মুদ্রাস্ফীতি (Inflation), নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে পাকিস্তানে। বেহাল দশা আমজনতার। রান্নার গ্যাস, ভোজ্য তেল অমিল ইসলামাবাদে। পাক সংবাদমাধ্যম ডন-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, সে দেশে পাম তেল, সোয়াবিনের তেল ও সানফ্লাওয়ার তেলের জোগানে ঘাটনি দেখা দিয়েছে। মিলছে না রান্নার তেলও। ব্যবসায়ীদের কাছে মজুত তেলভাণ্ডারেও টান পড়বে শীঘ্রই। অথচ এগুলি সে দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালিকায় নাম রয়েছে এই তিন তেলের।
[আরও পড়ুন: ‘লাদাখে গণতন্ত্র নেই, আমাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে’, বিস্ফোরক দাবি সোনম ওয়াংচুকের]
আকাশছোঁয়া জ্বালানির দাম। এমনকী মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাও মাঝেমাঝে ব্যাহত হচ্ছে। তারপরেও চাহিদামতো জোগানে ঘাটতি দেখা গিয়েছে। যার জেরে শাহবাজ শরিফের সরকারের ভূমিকা ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।