সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানে সন্ত্রাসের কোমর ভেঙে দিয়েছে ভারত। এই অবস্থায় নতুন করে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর সাজাতে শুরু করেছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। তাদের তৎপরতায় এবার পাকিস্তানে জোট বাঁধল দুই জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট ও লস্কর-ই-তইবা। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, জঙ্গিদের এই নয়া জোটের উদ্দেশ্য বালোচিস্তান ও আফগানিস্তানে অস্থিরতা তৈরির পাশাপাশি নতুন করে সন্ত্রাসের নেটওয়ার্ক তৈরি করা।
অপারেশন সিঁদুরের পাকিস্তানের জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন, লস্কর-ই-তইবার মতো একাধিক জঙ্গি সংগঠনকে স্থানান্তর করা হয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে। গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সেখানে এই জঙ্গি সংগঠনগুলিকে ভিন্ন উদ্দেশে ব্যবহার করছে আইএসআই। এই অঞ্চলেই একছাতার নিচে এসেছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রদেশ (ISKP) ও লস্কর-ই-তইবা (LeT)। সেখানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা বালোচ ও টিটিপির মতো বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে এই জঙ্গিদের। পাশাপাশি নতুন করে জম্মু ও কাশ্মীরে নতুন করে সন্ত্রাসের বীজ বপন করতেও প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে খবর।
দুই সন্ত্রাসী সংগঠনের জোটবদ্ধ হওয়ার এক ছবিতে সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, আইএসকেপির কমান্ডার মির শফিক মেঙ্গাল লস্কর কমান্ডার রানা মহম্মদ আশফাককে একটি পিস্তল উপহার দিচ্ছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, জঙ্গি মির বালোচিস্তানের মাস্তুং এবং খুজদার এলাকার দায়িত্বে রয়েছে। এই অঞ্চলে জঙ্গিদের জন্য নিরাপদ জায়গা ও ট্রেনিংয়ের দায়িত্বে রয়েছে মির। রানা আশফাক সংগঠন বৃদ্ধি ও অন্যান্য নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে তাদের একজোট করার দায়িত্ব পেয়েছে। আপাতত বালোচিস্তান এই জঙ্গি সংগঠনের প্রধান টার্গেট হলেও সিঁদুরের প্রতিশোধ নিতেও কাশ্মীরেও জাল বিস্তারের কাজ শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে বালোচিস্তানে নতুন ঘাঁটি তৈরি করেছে আইএসকেজেপি। মেঙ্গালের নেতৃত্বে এই সংগঠন বালোচ বিদ্রোহী ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে আফগানিস্তানে হামলা চালায়। ২০২৫ সালের মার্চ মাসে এই জঙ্গি সংগঠনের শিবিরে হামলা চালিয়েছিল বালোচ বিদ্রোহীরা। যে অভিযানে ৩০ জনের বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়। অন্যদিকে লস্কর-ই-তইবাও দীর্ঘদিন ধরে বালোচিস্তানে সক্রিয়। ২০০২ সাল থেকে কোয়েটায় জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালিয়ে আসছে লস্কর। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এলইটি-আইএসকেপির এই জোট অফগানিস্তানে যুদ্ধের সময় আল-কায়েদা ও লস্কর জোটের সমতুল্য হতে পারে।
