সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ পুরনো। ইসলামবাদ বারবার সেই অভিযোগ খণ্ডন করলেও দিল্লির দাবিকেই মান্যতা দিয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক মঞ্চ। এই কারণেই দীর্ঘদিন ধরে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (FATF) ‘ধূসর তালিকা’ভুক্ত পাকিস্তান। নতুন বছরেও সেই তালিকা থেকে বেরোতে পারল না ইমরানের (Imran Khan) দেশ। এইসঙ্গে সরাসরি পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত দেওয়া বন্ধ করতে বলল এফএটিএফ।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (Financial Action Task Force) বা এফএটিএফ গোটা বিশ্বে অর্থপাচার তথা সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত সংক্রান্ত বিষয়টি নজর রাখে। লস্কর ও জইশের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে আর্থিক মদত দেওয়া জন্য ২০১৮ সালেই পাকিস্তানকে ‘ধূসর তালিকা’ভুক্ত করে তারা। এই বিষয়ে সংস্থার তরফে পাক সরকারকে একাধিকবার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। সেই সময় বলা হয়েছিল, আগামী দিনে তাদের (পাকিস্তান) বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। যদিও পাকিস্তান যে এফএটিএফের হুঁশিয়ারিতে কান দেয়নি তা এদিন স্পষ্ট হয়ে গেল। সেই কারণেই শুক্রবার এফএটিএফের বৈঠকে ফের দেশটিকে ‘ধূসর তালিকা’ভুক্ত করা হল।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার, এবার কি শান্তির পথে হাঁটবে দুই দেশ?]
উল্লেখ্য, ২০১৯-এর অক্টোবরের মধ্যে তাদের বেঁধে দেওয়া শর্তগুলো পূরণ করার জন্য চাপ দিয়েছিল এফএটিএফ। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও তা পূরণ করতে পারেনি পাকিস্তান। ফলে ওই তালিকাতেই রেখে দেওয়া হয় তাদের। সঙ্গে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল, ২০২০-র এপ্রিলের মধ্যে সব শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হলে ‘কালো তালিকা’ভুক্ত করা হবে। যদিও ওই সময়ের মধ্যে শর্তপূরণ করতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান। সাম্প্রতিককালেও পরিস্থিতি বদলায়নি।
তবে পাকিস্তানের একটি সংবাদ মাধ্যমের দাবি, এফএটিএফের দেওয়া ৩৪টি শর্তের মধ্যে ৩২টি পূরণ করেছে ইসলামাবাদ। এরপরেও তাদের ‘ধূসর তালিকা’তেই রাখা হয়েছে! শুক্রবার এফএটিএফের বৈঠকে আগের তুলনায় অর্থ সংক্রান্ত অপরাধের বিষয়ে দেশটির কার্যকরী ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে। এইসঙ্গে এফএটিএফের তরফে বলা হয়েছে, অর্থপাচার ও সন্ত্রাস রুখতে পাকিস্তানের ভূমিকা আরও সদার্থক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এই বিষয়ে নিয়মিত তদন্ত চালিয়ে যে বা যারা সন্ত্রাস মদত দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
[আরও পড়ুন: ‘আজ থেকে সব মৃত্যুর দায় ন্যাটোর’, ‘বন্ধু’ জোটের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিলেন জেলেনস্কি]
আন্তর্জাতিক মহলের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে এফএটিএফের ‘ধূসর তালিকা’য় থাকলেও ইসলামাবাদকে যে ‘কালো তালিকা’ভূক্ত করা হয়নি, তা চিনের কারণে। এফএটিএফের বৈঠকে বারবার পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘বন্ধু’ চিন।