সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের কাছে মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদের প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানিয়েছিল ভারত। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের সেই চিঠি পৌঁছেছে ইসলামাবাদে। কিন্তু কুখ্যাত এই জঙ্গিনেতাকে দ্রুত দেশে ফেরানো কি আদৌ সহজ হবে? কী বলছে পাকিস্তান?
এদিন এই বিষয়ে পাকিস্তানের (Pakistan) বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ বলেন, “পাকিস্তান ভারত সরকারের অনুরোধ গ্রহণ করেছে। তারা তথাকথিত আর্থিক তছরুপ মামলায় জড়িত হাফিজ সইদের প্রত্যর্পণ চাইছে। কিন্তু এটাও মনে রাখা দরকার ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনও প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই।”
বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছিলেন, একটি নির্দিষ্ট মামলায় বিচারের জন্য হাফিজ সইদের (Hafiz Saeed) প্রত্যর্পণ চাইছে ভারত। এনিয়ে পদক্ষেপ করার জন্য পাকিস্তানের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সমস্ত নথি পাঠানো হয়েছে। এর পরেই শুক্রবার ইসলামাবাদের তরফে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুদেশের মধ্যে কোনও প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় এই জঙ্গিনেতাকে ফেরানোর পথ কতটা মসৃণ হবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘বৃহত্তম’ বিমান হামলা রাশিয়ার! গুঁড়িয়ে গেল স্কুল, হাসপাতাল, কারখানা]
উল্লেখ্য, মুম্বই হামলার পরেই ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তালিকায় রয়েছে লস্কর-ই-তইবার (Lashkar-E-Taiba) প্রতিষ্ঠাতা। রাষ্ট্রসংঘেও তাকে নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। হাফিজের মাথার দাম এক কোটি ডলার ধার্য করেছে আমেরিকা। সূত্রের খবর, পাকিস্তানে বহাল তবিয়তে রয়েছে হাফিজ সইদ। রাজনৈতিক দল গড়ে দেশের সাধারণ নির্বাচনেও অংশ নিতে পারে ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূলচক্রী।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে নির্বাচন। পাক ইংরেজি দৈনিক ডনের খবর, গোটা দেশে সমস্ত প্রদেশে প্রার্থী দিচ্ছে পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লিগ। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ স্বয়ং। লাহোরে প্রার্থী হচ্ছে হাফিজের ছেলে তালহা সইদ। প্রসঙ্গত, হাফিজের ছেলে তালহা সইদকেও ‘স্বতন্ত্র সন্ত্রাসবাদী’ তকমা দিয়েছে ভারত। সেই এবার পাকিস্তানের নির্বাচনে দাঁড়াতে চলেছে। ভোটে জিতলে পাক পার্লামেন্টে ঠাঁইও পাবে।