সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘাত-প্রত্যাঘাতে বিপদসীমা ছাড়িয়েছে ভারত-পাক সম্পর্ক। সীমান্তের দুপারেই চলছে যুদ্ধের প্রস্তুতি। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মুখে শান্তির বুলি আওড়ালেও নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর লাগাতর গোলাবর্ষণ করে চলেছে সে দেশের সেনাবাহিনী।
জানা গিয়েছে, লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে দেশের সমস্ত প্রধান বিমানবন্দরগুলিতে অসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান।হাসপাতালগুলির ২৫ শতাংশ বেড আহত সৈনিকদের জন্য রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে রাওয়ালপিণ্ডি ও খাইবার পাখতুনখোয়ার হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য চিকিৎসাকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এদিকে যুদ্ধবন্দি ভারতীয় পাইলট অভিনন্দনকে এখনও মুক্তি দেয়নি পাকিস্তান। পালটা নৌসেরা সেক্টরে টহল দিয়ে বেড়াচ্ছে পাক যুদ্ধবিমান। সে দেশের পাঞ্জাব প্রদেশে বিপুল সংখ্যক ট্যাঙ্ক মোতায়েন করেছে পাক বাহিনী। তবে মুখোশধারী পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে প্রস্তুত ভারতও। বুধবার সেনার তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের খবর, পাকিস্তানকে কঠোর জবাব দিতে তিন বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে দুই পারমাণবিক শক্তিধারী দেশের মধ্যে যুযুধানে রীতিমতো উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক মহল। আমেরিকা, রাশিয়া, চিন-সহ একাধিক দেশ ভারত ও পাকিস্তানকে সংযম বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বালাকোটের জঙ্গি শিবিরে বায়ুসেনার হামলার পরের দিনই ‘ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটি’-র (এনসিএ) বৈঠক ডাকেন ইমরান খান। পাকিস্তানের আণবিক অস্ত্রের দায়িত্ব এনসিএ-র হাতে। ফলে মনে করা হচ্ছে পরোক্ষে পরমাণু হামলার হুমকি দিচ্ছে পাকিস্তান। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি অত্যন্ত ঘোরাল হয়ে পড়েছে।