সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত হিগস বোসন তথা 'ঈশ্বর কণা'র আবিষ্কারক নোবেলজয়ী পিটার হিগস। স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবরায় নিজের বাড়িতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন এই ব্রিটিশ বিজ্ঞানী বলে খবর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
প্রায় পাঁচ দশক ধরে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন হিগস। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'সোমবার, ৮ এপ্রিল নিজের বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন পিটার হিগস। তিনি একজন মহান শিক্ষক ও দূরদর্শী বিজ্ঞানী ছিলেন। হিগস ছিলেন নতুন যুগের উঠতি বিজ্ঞানীদের অনুপ্রেরণার উৎস।' বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হিগসের প্রয়াণে তাঁর পরিবার শোকগ্রস্ত। তাই এই মুহূর্তে সংবাদমাধ্যম ও জনতার কাছে ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান জানানোর অনুরোধ করেছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালে হিগস বোসন তথা 'ঈশ্বর কণা'র অস্তিত্বের কথা বলে বৈজ্ঞানিক মহলে রীতিমতো হইচই ফেলে দেন হিগস। তার প্রায় প্ঁচ দশক পরে জেনেভার 'ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চে (CERN) লার্জ হেড্রোন কলাইডার যন্ত্রের পরীক্ষা 'ঈশ্বর কণা'র উপস্থিতি প্রমাণিত করে। যুগান্তকারী এই থিয়োরির জন্য ২০১৩ সালে পদার্থবিদ্যায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান হিগস।
[আরও পড়ুন: মোসাদের ধাঁচে পাকিস্তানে জঙ্গি নিকেশ! ভারতের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে মুখ খুলল আমেরিকা]
বিজ্ঞানের জটিল তত্ত্বকে সহজ করে বললে, হিগস বোসন কণা অন্য কণা বা পার্টিকেলকে ভর জোগায়। এই ব্রহ্মাণ্ডে কত জিনিস- অণু-পরমাণু থেকে কত নক্ষত্র-গ্রহরা বিরাজমান। এত সব ঠিকঠাক আছে, বস্তুর ভর আছে বলে। তাই তারা আলোর কণা ফোটনের (যার ভর নেই) মতো দিগ্বিদিকে সেকেন্ডে তিন লক্ষ কিলোমিটার বেগে ছুটে বেড়াচ্ছে না। হিগস বোসন যদি অন্য কণাকে ভর না জোগাত, তা হলে এই ব্রহ্মাণ্ড হয়ে যেত লন্ডভন্ড। এ কারণে কণারাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ তত্ত্ব স্ট্যান্ডার্ড মডেলের মুন্ডু হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে হিগস বোসনকে।