সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনকে টক্কর দিতে আমেরিকার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মহাকাশ রেসেও পুরোদস্তুর ঢুকে পড়ল ভারত। এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) সঙ্গে যৌথভাবে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মোদি (PM Modi)। আর সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন, ‘‘আমরা সম্মত হয়েছি আর্তেমিস চুক্তি করার বিষয়ে। মহাকাশে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে এটা একটা নতুন পদক্ষেপ।’’
উল্লেখ্য, এর আগে ‘আর্থ অবজ়ারভেশন’ উপগ্রহ ‘নিসার’ নির্মাণের উদ্যোগে একসঙ্গে কাজ করেছিল আমেরিকা ও ভারত। কিন্তু আর্তেমিস চুক্তির(Artemis Accord) ফলে মহাকাশে জোট বাঁধার ক্ষেত্রে রাতারাতি আরও পোক্ত হল দুই দেশের বন্ধন। অর্থাৎ এবার দুই দেশকে দেখা যাবে একসঙ্গে মহাকাশ অভিযানে নামতে। নাসার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ইসরো চাঁদ বা মঙ্গলে অভিযান করবে। সেই পথই খুলে দিল এই চুক্তি। ভারতের আগে আরও ২৩টি দেশ এই চুক্তিতে সই করেছে।
[আরও পড়ুন: রুদ্ধদ্বার আলোচনায় মোদি-বাইডেন, মার্কিন আমলাদের সঙ্গে বৈঠকে ভারতের ‘সুপার স্পাই’ও]
এই চুক্তির অর্থই হল একে অন্যকে কেবল যন্ত্রাংশ দিয়ে সাহায্য করাই কেবল নয়, দুই দেশ এবার তথ্য, প্রযুক্তি শেয়ার করার পাশাপাশি চন্দ্রাভিযানের মতো অভিযানে একযোগে কাজ করবে। প্রসঙ্গত, মহাকাশ রেসে আমেরিকা বা রাশিয়ার একাধিপত্যে ভাগ বসিয়েছে চিন। দ্রুত তারা উঠে আসছে ওই দুই দেশকে টক্কর দিতে। পাশাপাশি আরব দেশগুলিকেও এই দৌড়ে শামিল হতে দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার সঙ্গে নয়াদিল্লির এই চুক্তি যে বেজিংকে চাপে রাখবে তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
প্রসঙ্গত, আর্তেমিস চুক্তির একটা অংশই হল আর্তেমিস কর্মসূচি। যার মধ্যে রয়েছে চাঁদে মানুষ পাঠানো। কেবল পাঠানোই নয়, এবার চাঁদে স্থায়ী বসতি স্থাপনের কথা ভাবছে আমেরিকা। আপাতত নাসার লক্ষ্য আগামী মিশনে চাঁদের কক্ষপথে একটি স্থায়ী অরবিটারকে স্থাপন করা। সেই সঙ্গে অ্যাপলো মিশনের পাঁচ দশক পরে চন্দ্রপৃষ্ঠেও স্থায়ী হওয়া এই মিশনের লক্ষ্য।