সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় বায়ুসেনার অভাবনীয় সাফল্য। তারপর পাঞ্জাবের আদমপুর বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কড়া বার্তা। দুই ফ্যাক্টরের পরোক্ষে প্রভাবে বিরাট লাভের মুখ দেখছে রাফালে প্রস্তুতকারক সংস্থা দাসাল্ট অ্যাভিয়েশন।
আসলে সোমবার এই দাসাল্ট অ্যাভিয়েশনের শেয়ার বড় আকারে ধাক্কা খেয়েছে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাঞ্জাবের আদমপুর থেকে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দেওয়ার পরই ছবিটা পালটায়। মঙ্গলবার আদমপুরে দাঁড়িয়ে মোদি বলেন, "পাকিস্তান যদি লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম করে, তাহলে ভারতও কড়া জবাব দেবে। আগামী দিনে আবার কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলা হলে ভারত জবাব দেবে, অবশ্যই দেবে।" তারপরই মঙ্গলবার এক ধাক্কায় রাফালের প্রস্তুতকারক সংস্থার শেয়ারের দাম বেড়ে যায় প্রায় দেড় শতাংশ। বুধবার ফের দাসাল্ট অ্যাভিয়েশনের ১.৪৭ শতাংশ বেড়েছে রাফালে শেয়ারের দাম। সব মিলিয়ে দুদিনে প্রায় ৩ শতাংশ বাড়াল দাসাল্টের শেয়ারের দাম। আপাতত প্যারিস স্টক এক্সচেঞ্জে দাসাল্টের শেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩০৪.০৪ ইউরোতে। ওই সংস্থার শেয়ারের সর্বকালের রেকর্ড দাম হচ্ছে ৩৩২.২০ ইউরো।
উল্লেখ্য, রাফালে নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। ওই যুদ্ধবিমান কেনার সময় ভারত সরকার এবং দাসাল্টের কী চুক্তি হয়েছে, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন দেশের বিরোধীরা। বিশেষ করে রাহুল গান্ধী দাসাল্ট এবং ভারত সরকারের চুক্তি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি ছিল, ২০১৬ সালে স্বাক্ষরিত রাফালে চুক্তিতে ইউপিএ জমানার থেকে বেশি দাম দিয়ে যুদ্ধবিমান কিনছেন মোদি। শুধু তাই নয়, সরকারি সংস্থা হ্যালকে বঞ্চিত করে বন্ধু অনিল আম্বানির সংস্থাকে রাফালের বরাত পাইয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও পরে সুপ্রিম কোর্ট সেই অভিযোগ খারিজ করে।
সূত্রের দাবি, ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুরে এই রাফালে ব্যবহৃত হয়েছে। অপারেশন সিঁদুরের অভাবনীয় সাফল্যের নেপথ্যেও হাত রয়েছে এই রাফালের। যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতীয় বায়ুসেনার ব্যবহার করা অস্ত্রশস্ত্র এবং সেনার বীরত্বের প্রশংসা করছেন, সেটাও রাফালের সংস্থার শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে অনুঘটক হিসাবে কাজ করতে পারে। তবে শেয়ারের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সংস্থাটির ভালো আর্থিক পারফরম্যান্সও অনেকাংশে দায়ী।
