সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে আন্তর্জাতিক সমীকরণ। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা চাইছে রাশিয়ার পাশ থেকে ভারতকে সরিয়ে আনতে। পুতিনের দেশকে কোণঠাসা করাই মূল লক্ষ্য তাদের। কিন্তু যাবতীয় প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ভারত যে ‘বন্ধু’ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রাখতে চায় তা আবারও পরিষ্কার হয়ে গেল।
মস্কোয় আয়োজিত হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক সেনা টেকনিক্যাল ফোরাম’। সেখানে অবস্থিত ভারতীয় প্যাভিলিয়নের উদ্বোধন করেছেন রাশিয়ায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পবন কাপুর। রুশ উপপ্রধানমন্ত্রী ডেনিস মানতুরভ ও রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু মস্কোয় ব্রহ্মস এরোস্পেসের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ব্রহ্মস (Brahmos) ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে। যা থেকে পরিষ্কার ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি হওয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে নিত্যনতুন পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও তাতে কোনও প্রভাব পড়েনি। বরং যেভাবে একযোগে দুই দেশ কাজ করছে, তাতে আগামিদিন ব্রহ্মসের আরও আধুনিক রূপ দেখার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: ‘নারীদের হাত ধরেই দেশের উন্নতি হবে’, স্বাধীনতা দিবসে বার্তা মোদির, পতাকা উত্তোলন মমতার]
প্রসঙ্গত, ভারতের অন্যতম শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র এই ব্রহ্মস। ভারত ও রাশিয়ার (India and Russia) যৌথ উদ্যোগে প্রথমবার ২০০৫ সালে তৈরি হয় ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্র ৪৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে। ব্রহ্মসকে বিশ্বের অন্যতম সেরা সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মনে করা হয়। যার নামকরণ করা হয়েছে ভারতের ব্রহ্মপুত্র এবং রাশিয়ার মস্কোভা নদীর নামে। শব্দের তুলনায় প্রায় ৩ গুণ দ্রুত গতিতে ছুটে যাওয়া এই ক্ষেপণাস্ত্রটি শুধুমাত্র বিশ্বের দ্রুততম সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলই নয়, এর উচ্চ গতির কারণে এটিকে ব়্যাডারও ধরতে অক্ষম।