সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War)। তারপরে ১১৫ দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ থামার কোনও লক্ষণ নেই। প্রতিদিন আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে চলেছে দু’দেশের সেনাবাহিনী। এর মধ্যেই নতুন করে সতর্কবার্তা শোনালেন ন্যাটোর (NATO) প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ। এই যুদ্ধ বেশ কয়েক বছর ধরে চলতে পারে, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই যুদ্ধের ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আরও ক্ষয়ক্ষতির জন্য তৈরি থাকা দরকার বলেই দাবি করেছেন ন্যাটো প্রধান।
ন্যাটোর সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন স্টল্টেনবার্গ (NATO Cheif)। তারপরেই একটি সাক্ষাতকারে তিনি বলেন,” রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বেশ কয়েক বছর ধরে চলতে পারে। সেই জন্য আমাদের সকলের প্রস্তুত থাকা দরকার। ইউক্রেনকে সহায়তা করা থেকে পিছিয়ে আসলে চলবে না।” প্রসঙ্গত, বারবার ইউক্রেনীয় সেনাকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে ন্যাটোর সদস্য দেশগুলি। এছাড়াও স্টলটেনবার্গ বলেছেন, “দিনে দিনে যুদ্ধের ব্যয়ও বাড়বে। শুধু অস্ত্র বা সামরিক সাহায্য নয়, আরও আনুসঙ্গিক জিনিস দিয়েও সাহায্য করতে হবে। জ্বালানি, খাদ্যদ্রব্যের মতো আরও নানা ক্ষেত্রে সাহায্য করতে হবে ইউক্রেনকে।” এই কাজে প্রচুর অর্থ ব্যয় হবে, সে কথা বলাই বাহুল্য।
[আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বাঁচাতে এবার নয়া পদক্ষেপ, স্কুল-কলেজ, অফিস বন্ধের সিদ্ধান্ত শ্রীলঙ্কার]
তবে সেই ব্যয় করতেও প্রস্তুত ন্যাটো, এমনটাই বলেছেন স্টলটেনবার্গ। তাঁর মতে, রাশিয়ার পরাজয় দেখেই এত ব্যয়ভারের কথা উলে যেতে পারবেন তিনি। ন্যাটো প্রধান বলেছেন, “নিঃসন্দেহে যুদ্ধের কারণে প্রচুর ব্যয় হয়েছে। কিন্তু রুশ সেনা বাহিনীকে যদি জিততে দিতাম, সেই ব্যয় আরও অনেক বেশি হত।” প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের পূর্বদিকে অবস্থিত দোনবাস অঞ্চলে সেনাদের সাহায্য করতে আরও অস্ত্র পাঠাচ্ছে ন্যাটো, সেই কথাও জানিয়েছেন স্টলটেনবার্গ। ইতিমধ্যেই পূর্ব ইউক্রেনের অধিকাংশ অঞ্চল দখল করে ফেলেছে রুশ বাহিনী।
রাশিয়াকে কড়া বার্তা দিয়ে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নেন জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy) ও ইউরোপের তিন রাষ্ট্রপ্রধান। ইটালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি বলেন, “আমরা চাই এই অত্যাচার বন্ধ হোক। শান্তি ফিরুক। কিন্তু ইউক্রেন যে কোনও মূল্যে নিজেকে রক্ষা করবে। যুদ্ধের যে কোনও কূটনৈতিক সমাধান কিয়েভের মত ছাড়া সম্ভব নয়।”